ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা নিয়ে আগামী ১৪ ডিসেম্বর বাংলার ডিজিপি এবং রাজ্যের মুখ্য সচিবকে তলব করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু শুক্রবার স্বরাষ্ট্রসচিবকে লিখিতভাবে রাজ্যের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, ওই দিনের বৈঠকে এঁদের মধ্যে কেউ যোগ দেবেন না। পাশাপাশি মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এও স্পষ্ট করে দেন যে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির জন্য কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্তই করা হয়েছিল। এবং এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিন চিঠিতে ‘কড়া’ জবার দিয়েই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনার জন্য যে বৈঠক ডাকা হয়েছে, তাতে রাজ্যের তরফে ডিজিপি ও মুখ্যসচিব উপস্থিত থাকতে পারবেন না। যেখানে z ক্যাটাগরির নিরাপত্তা প্রদান নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। কিন্তু রাজ্য, সমস্ত বিষয়টাই অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সামলাচ্ছে। তবে শারীরিকভাবে হাজির থাকা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
পাশাপাশি চিঠিতে এও লেখা হয়, গতকাল জে পি নাড্ডার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দেওয়া হয়েছিল বুলেটপ্রুফ গাড়ি এবং পাইলট কার। সিআরপিএফের এসকর্ট কারও ছিল। এছাড়াও পিএসও, চারজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৮ জন ইস্পেক্টর, ৩০ জন অফিসার, ১৪৫ জন কনস্টেবল ও ৩৫০ জন কনস্টেবলেও দেওয়া হয়েছিল। এমনকী ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। যার মধ্যে দুটি ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। এর জন্য ইতিমধ্যেই সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনাকে ‘প্রচার না পেয়ে নাটক’ বলে তুলে ধরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই মন্তব্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে সেই মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। এদিন রাজভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁর বক্তব্য, ”এমন মন্তব্যে আমি লজ্জিত। গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হল। আপনার উচিত, ক্ষমা চেয়ে নেওয়া।” এবার কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যসচিব। ফলে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত আরও তীব্র হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.