সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রীর ভাষণের সরাসরি সম্প্রচার হলেও বিধানসভার অধিবেশনের প্রারম্ভিক ভাষণের কেন সম্প্রচার হয়নি, তা নিয়ে একাধিক টুইট করলেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এর নেপথ্যে রাজ্যের অভিসন্ধি রয়েছে বলেই পরোক্ষে অভিযোগ করলেন ধনকড়। তবে এখনও এ বিষয়ে পালটা রাজ্যের শাসকদলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়। হাজারও টানাপোড়েনের পর রাজ্যের বয়ান অনুযায়ী তাতে প্রারম্ভিক বক্তৃতা দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। গাম্ভীর্য ভুলে ওইদিন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে বলেই ভেবেছিলেন রাজ্যের প্রায় সকলেই। তবে বদলে গেল সেই ছবি। আবারও রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন রাজ্যপাল। বাজেট পেশের সম্প্রচার নিয়ে বিরক্ত তিনি। তাই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের বাজেট পেশের পরই একের পর এক টুইট করেন জগদীপ ধনকড়। তিনি লেখেন, “অর্থমন্ত্রীর ভাষণের সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তবে বাজেট অধিবেশনের আমার প্রারম্ভিক ভাষণের সরাসরি সম্প্রচার করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমকেও দূরে রাখা হয়েছিল। রাজ্যবাসীর উপরে এই ঘটনার বিচারের ভার দিলাম।”
The State Finance Minister Dr Mitra budget speech was live while the address of the Governor under Article 176, an important occasion, in sharp deviation to practice was not allowed live coverage and media was also kept away. Leave to judgment of the people of the State !
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 10, 2020
This is of critical consequence for media. Is this acceptable expression of ideas ? Is it not intolerance of the constitutional head ? Is it not a kind of censorship ? I am sure the media and public would not be just silent spectators.
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 10, 2020
দায়িত্ব নেওয়ার পরই রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকের ডাক দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেই থেকে সংঘাতের সূত্রপাত। একের পর এক ঘটনায় দূরত্ব বেড়েছে ক্রমশ। তবে চলতি বছর সাধারণতন্ত্র দিবসে মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যপালের আমন্ত্রণে চা চক্রে উপস্থিতি দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন সম্পর্কের মোড় বোধহয় ঘুরল। রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে প্রারম্ভিক বক্তব্য নিয়ে প্রাথমিকভাবে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তবে তা সত্ত্বেও সমস্ত জটিলতাকে উপেক্ষা করে রাজ্যের বয়ানই পাঠ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের কথাবার্তার ভঙ্গিমাতেও সুসম্পর্কের ইঙ্গিতই মিলেছিল। কিন্তু রবিবার রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়ান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বারাসতের গঙ্গানগরে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্য বিস্ফোরক আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে বলেই সুর চড়ান তিনি। ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্যের জেরে রাজ্যপালের কড়া সমালোচনা করে তৃণমূল। সেই সংঘাতের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বাজেট সম্প্রচার নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন রাজ্যপাল।
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্ক যে কখন ভাল আর কখন খারাপ তা টের পাওয়া কঠিন। তবে পরপর দু’দিনের সংঘাতে অনেকেই মনে করছেন, যে তিমিরে ছিল সেখানেই রয়ে গিয়েছে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.