Advertisement
Advertisement

Breaking News

আমফান

রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে আমফান নিয়ে কেন্দ্রের বৈঠক, ক্ষুব্ধ মমতা

প্রোটোকল না মেনে বৈঠক করেছে কেন্দ্র, অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।

Bengal's CM Mamata Banerjee tensed about cyclone Amphan

ফাইল ছবি

Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 18, 2020 5:02 pm
  • Updated:May 18, 2020 5:41 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বারবার সংঘাতে জড়িয়েছে রাজ্য। করোনার মাঝে এবার বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কোমর বেঁধে লড়ছে রাজ্য। অথচ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যকে প্রায় অন্ধকারে রেখে বৈঠকে বসে কেন্দ্র। তা নিয়ে আবারও কেন্দ্র-রাজ্য জড়াল সংঘাতে। কেন্দ্র প্রোটোকল না মেনে বৈঠক করেছে বলেই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। 

আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বুধবার বিকেল বা সন্ধের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আমফান দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়া উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। তখন এর গতিবেগ থাকতে পারে ১৫৫ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। অর্থাৎ তখন তা অত্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে (Severe Cyclonic Storm) পরিণত হবে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার থেকেই আমফানের প্রভাব এ রাজ্যে টের পাওয়া যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহবিদরা। তাতে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে বলেও তাঁরা জানিয়েছেন। আমফানের তাণ্ডবের আশঙ্কায় কাঁপছে বঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চল। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: আরও ১২০টি ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের আনা হবে, বড় ঘোষণা মমতার]

করোনার মাঝে আচমকা আমফানের আবির্ভাবে যথেষ্ট চিন্তিত রাজ্য সরকার। এরই মাঝে সোমবার আচমকাই রাজ্যকে প্রায় অন্ধকারে রেখে আমফান নিয়ে বৈঠক করে কেন্দ্র। সে বিষয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রোটোকল না মেনে কেন্দ্র বৈঠক করেছে বলেই তোপ দাগেন তিনি। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় বড়সড় প্রভাব ফেলার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের দিকে ২৪ ঘণ্টা নজর রাখা হবে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় যাঁরা থাকেন ৩-৪ দিন একটু সাবধানে থাকবেন। বুলবুলের আগে ঠিক যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল সেভাবেই সকলকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। করোনা, আমফান সবই একসঙ্গে হয়ে গিয়েছে। ঘাড়ের উপর আমফান নিঃশ্বাস ফেলছে, কত কী দেখব? কি আর করা যাবে?”  

এছাড়াও নার্সদের গণইস্তফা নিয়েও এদিন ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা মোকাবিলায় যাতে কোনও সমস্যা না হয় তাই মেল, ফিমেল হেল্পার বা স্বাস্থ্য সহায়ক নিয়োগের কথা বলেন তিনি। ওই মেল বা ফিমেল হেল্পাররা অবশ্যই চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে সামান্য যুক্ত হতে হবে। তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কীভাবে রোগীদের ওষুধ দেওয়া, তাপমাত্রা মাপানোর মতো প্রাথমিক কাজ করানো যায় সে বিষয়গুলি শেখানো হবে। অবসরপ্রাপ্ত নার্সদেরও প্রয়োজনে বেসরকারি কিংবা সরকারি হাসপাতালে আবারও নিযুক্ত করা যেতে পারে বলেও জানান রাজ্যের স্বাস্থ্য তথা মুখ্যমন্ত্রী। 

[আরও পড়ুন: বাংলায় নেই সরকারি নাইট কারফিউ, জেনে নিন লকডাউনের চতুর্থ দফায় কী কী খুলছে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement