Advertisement
Advertisement
Bengal CM Mamata Bannerjee slams BJP on Vidyasagar's Birth anniversary

বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে ফিরল মূর্তি ভাঙার স্মৃতি, নাম না করে বিজেপিকে কটাক্ষ মমতার

স্কুলপড়ুয়াদের জন্য চালু নয়া ছাত্র বৃত্তি।

Bengali news: Bengal CM Mamata Bannerjee slams BJP on Vidyasagar's Birth anniversary | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:September 26, 2020 8:45 pm
  • Updated:October 1, 2020 2:33 pm  

দীপঙ্কর মণ্ডল: বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকীতে নাম না করে বিজেপিকে বিঁধলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। শনিবার টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী গতবছর বহিরাগতদের হাতে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার উল্লেখ করেন। পাশাপাশি এদিন কলকাতায় বিদ্যাসাগরের বসতবাড়িতে তাঁর দ্বিশত জন্মবার্ষিকীর সরকারি সমাপ্তি অনুষ্ঠানে টেলিফোনে প্রারম্ভিক ভাষণ দেন মমতা। সেখানেও তিনি নাম না করে কেন্দ্রীয় সরকারের চাপিয়ে দেওয়া নীতির সমালোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই চড়া বক্তব্য পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অন্য বিশিষ্টরাও একইভাবে গেরুয়া দলের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করেন। একই মঞ্চে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নয়া বৃত্তি ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী।

বাংলার সংস্কৃতিতে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা স্মরণ করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতি চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে সরব হন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এর বিরুদ্ধে জাগ্রত থাকতে হবে। বেশ কিছু ইংরেজি মাধ্যম স্কুল আছে যেখানে মনীষীদের জীবনী তুলে ধরা হচ্ছে না। তা তুলে ধরতে হবে।” পরে পার্থবাবুও নাম না করে বলেন, “এরা শুধু মূর্তি ভাঙছে না। বাংলার সংস্কৃতি, মর্যাদা, ঐতিহ্য এবং অহংকারকে দুরমুশ করছে। ধর্মান্ধতায় এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যাতে বাংলার সংস্কৃতি মুছে ফেলা যায়। রামমোহন, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিম, নজরুলকে ভুলিয়ে দিতে চাইছে। এই মুছে দেওয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কন্ঠ মেলাতে হবে।” দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালির সংগ্রামের ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “নতুন করে ইতিহাস লেখার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলাকে দাবিয়ে রাখা যায়নি। যাবেও না। শুধু রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে বাংলাকে বাঁচানো যাবেনা। বাংলাকে বাঁচাতে হলে আমাদের একত্রিত হতে হবে। বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে সেটাই আমাদের অঙ্গীকার এবং প্রতিজ্ঞা।”

Advertisement

[আরও পড়ুন : ‘তৃণমূল নেতার জন্যই আমাকে সরতে হল’, কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ হারিয়ে মুকুলের প্রতি ক্ষুব্ধ রাহুল]

গতবছর পশ্চিম মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান শুরু হয়। বছরভর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে রাজ্য। বিভিন্ন বই প্রকাশিত হয়। বর্ণপরিচয়-এর প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ প্রত্যেকটি স্কুলে বিনামূল্যে বিলি হয়। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এদিন মুখ্যমন্ত্রী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিকেও বাংলার মনীষীদের জীবন, কর্ম ও গুরুত্বের কথা বই আকারে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ‘আমাদের বিদ্যাসাগর’ নামে একটি বই ইতিমধ্যেই স্কুলশিক্ষা দপ্তর তৈরি করেছে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এই বইটি ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্রছাত্রীদের হাতে নিখরচায় পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়াও চলতি বছর থেকেই বিদ্যাসাগর নামাঙ্কিত সায়েন্স অলিম্পিয়াড শুরু হবে। এই প্রকল্পে নবম ও দশম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা এক হাজার টাকা করে স্কলারশিপ পাবে।

শিক্ষা দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানটিতে ছিলেন শিক্ষা সচিব মনিশ জৈন। সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক অভীক মজুমদার। সাহিত্যিক আবুল বাশার এবং অধ্যাপক সুরঞ্জন দাস চাপিয়ে দেওয়া নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং শিল্পী শুভাপ্রসন্ন বিদ্যাসাগরের মহান কর্মকাণ্ড নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পেশ করেন। সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী-সহ রাজ্যের উপাচার্যদের একটি অংশ এদিন উপস্থিত ছিলেন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কর্তারাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

[আরও পড়ুন : ‘রাজভবনের ক্ষমতাও খর্ব করতে চাইছেন মমতা’, টুইটে ফের খোঁচা ধনকড়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement