স্টাফ রিপোর্টার: “সাম্প্রদায়িক হানাদারদের রুখে দিন। যে করে হোক তৃণমূলকে জেতান।” ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ রুখতে বিদ্বজ্জনদের পাশে পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় বিজেপিকে রুখতে মমতার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন বুদ্ধিজীবীরা। আহ্বান জানালেন, “বিজেপিকে রুখে দিতে বাংলায় মমতার দলকে জয়ী করুন।”
মঙ্গলবার কলকাতার প্রেস ক্লাবে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের খ্যাতনামারা একজোট হয়েছিলেন। কলকাতায় শেষদফা ভোটের আগে যা অত্যন্ত তাৎপর্যজনক। এদিন সমাবেশে হাজির ছিলেন চিত্রকর শুভাপ্রসন্ন, কবি জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার, গায়ক কবীর সুমন-সহ হোসেনুর রহমান, আবুল বাশার, অভিরূপ সরকার, অরিন্দম শীল, হরনাথ চক্রবর্তী, নলিনী বেরা, প্রসূন ভৌমিকদের মতো ব্যক্তিত্ব।
বিজেপির বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হয়ে লড়ার পরামর্শ দেন নাগরিক কবিয়াল। কবীর সুমন বলেন, “বিহারে থাকলে কানহাইয়া কুমারকে সমর্থন করতাম। এখানে মমতাকে করছি। ভারতবর্ষ কারও বাপের সম্পত্তি নয়।” সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকার কথা দিয়ে তাঁর বার্তা, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে বিপ্লব দেখতে পাচ্ছি।” বিজেপির পাশাপাশি বামেদেরকেও একহাত নিয়েছেন প্রবীণ গায়ক। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন তহবিলের টাকা খরচ করার জন্য। বামেরা তবু তাঁকে নিয়ে কুরুচিকর কথাবার্তা বলে চলেছেন। অবিলম্বে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতাকে সাহায্য করা উচিত বামেদের।”
মোদি-অমিত শাহর রাজনীতির বিরুদ্ধে গলা ফাটিয়েছেন কবি সুবোধ সরকারও। মোদি-শাহ জুটিকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া বলে চিহ্নিত করে তাঁর মন্তব্য, “বিবেকানন্দর কথা বলে বিজেপি। ওরা জানেও না বিবেকানন্দ বেঁচে থাকলে তিনি ওদের সহ্য করতে পারতেন না।”
কংগ্রেস-সিপিএমকে পেছনে ফেলে ক্রমশ রাজ্যে বিরোধী দল হিসাবে উঠে আসছে গেরুয়া৷ রাজ্যে রাজনৈতিক জমি গড়তে অমিত শাহরা বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করার ডাক দিচ্ছেন। নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র বলেছেন, “এটা হতে দেবেন না। গোটা দেশে দলিতদের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনছে বিজেপি। এটা গর্হিত অন্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা এ রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তাঁর অবিরাম প্রতিবাদের পাশে আমরা রয়েছি।”
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনঘন এ রাজ্যে আসাকে মমতার নৈতিক জয় মনে করছেন কবি জয় গোস্বামী। তাঁর কথায়, “একমাত্র মমতাকেই ভয় পাচ্ছে মোদি-শাহ জুটি। তাই ঘনঘন তারা এ রাজ্যে ছুটে আসছেন। ভোটে জিততে কোটি কোটি টাকা ছড়াচ্ছেন। এসময় মমতার পাশে দাঁড়ানোই শুভবুদ্ধির পরিচয়।” এদিন অমিত শাহের পদযাত্রার জন্য অনেকেরই এই অনুষ্ঠানে পৌঁছতে দেরি হয়। সে প্রসঙ্গ টেনে শুভাপ্রসন্ন বলেন, “রাস্তায় আসার সময় দেখলাম অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে একটা মিছিল হচ্ছে। গেরুয়াকে ত্যাগের রং বলে জানি। কিন্তু এটা সেই গেরুয়া নয়।” এই প্রথম নয়, নন্দীগ্রামের আন্দোলন থেকেই বাংলার বুদ্ধিজীবীদের অকুণ্ঠ সহযোগিতা পেয়ে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সমাজের সর্বস্তরের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী বিভিন্ন ইস্যুতে এখনও সহমত পোষণ করেন তার প্রতি। তাঁর এক ডাকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সকলকে হাজির থাকতে দেখা যায়। উনিশের লড়াইতেও যে তারা মমতারই পাশে রয়েছেন এদিন ফের একবার তা জানিয়ে দিলেন বাংলার বুদ্ধিজীবীরা।
নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র বলেছেন, “এটা হতে দেবেন না। গোটা দেশে দলিতদের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনছে বিজেপি। এটা গর্হিত অন্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা এ রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তাঁর অবিরাম প্রতিবাদের পাশে আমরা রয়েছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.