সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে বাড়ি ফিরলেন মালয়েশিয়ায় কাজে গিয়ে আটকে পড়া এক শ্রমিক৷ আজ সকালে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি৷ জুলফিকার আলি মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের বাসিন্দা৷ রাজ্য সরকারের তৎপরতায় ‘বন্দিদশা’ কাটিয়ে বাড়ি ফিরতে পারায় খুশি শ্রমিক৷ ছেলেকে আবারও কাছে ফিরে পেয়ে আনন্দে চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না জুলফিকারের মা৷
জুলফিকার আলি মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের বাসিন্দা৷ সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় পরিস্থিতি৷ পরিজনদের অন্ন সংস্থানে একমাত্র ভরসা জুলফিকার৷ কাজের সন্ধানে দিনরাত কেটে যেত তাঁর৷ এমন সময় এক এজেন্ট তাঁকে কাজের সন্ধান দেন মালয়েশিয়ায়৷ একটু বেশি আয় হবে৷ পরিবারের মুখে হাসি ফুটবে৷ তাই কিছু না ভেবেই ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে পাড়ি দেন মালয়েশিয়ায়৷ নির্মাণকাজ করতে হবে তাঁকে, এজেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছিল সেরকম৷ কিন্তু মালয়েশিয়ায় পৌঁছাতেই ছবিটি বদলে গেল৷ জুলফিকারের অভিযোগ, এজেন্টের কথার সঙ্গে সেখানকার পরিস্থিতির কোনও মিল ছিল না৷ তাঁর অভিযোগ, মালয়েশিয়ায় পৌঁছানো মাত্রই তাঁর থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা কেড়ে নেওয়া হয়৷ বিনা পারিশ্রমিকে দিনের পর দিন খাটানো হয়৷ ঠিকমতো খাবারও দেওয়া হত না জুলফিকারকে৷ এছাড়াও শরীর খারাপ হলে ওষুধপত্রের ব্যবস্থা না করে একটি বন্ধ ঘরে ফেলে রাখা হত বলেও অভিযোগ তাঁর৷ এভাবেই বেশ কয়েকদিন কার্যত নরকযন্ত্রণা সহ্য করেন জুলফিকার৷ এরপর একদিন সকলের নজর এড়িয়ে গোপালনগরে পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি৷ তাঁরা যোগাযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে৷ রাজ্য সরকারের সহায়তায় আবার ঘরে ফিরলেন জুলফিকার৷ শনিবার সকালে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন ওই শ্রমিক৷ ‘বন্দিদশা’ কাটাতে পেরে রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি৷
সপ্তাহখানেক আগে দেশে ফেরেন মালয়েশিয়ায় আটকে পড়া আরেক যুবক সঞ্জয় মল্লিক। সঞ্জয় হুগলির বাসিন্দা। সঞ্জয়ও জুলফিকারের মতো একই অভিজ্ঞতার কথাই জানান৷ এখনও দুজন শ্রমিক মালয়েশিয়ায় আটকে রয়েছেন৷ আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তাঁরাও বাড়ি ফিরে আসবেন বলেই জানা গিয়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.