দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: প্যারিসে বাঙালি বিজ্ঞানীর রহস্যমৃত্যু। মৃতের নাম স্নিগ্ধদীপ দে। পরিবারের লোকেদের দাবি, শনিবার শেষবার স্নিগ্ধদীপের সঙ্গে কথা হয় তাঁদের। তারপর আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। প্যারিসে যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ওই বাঙালি বিজ্ঞানী, সেই বাড়ির মালিক ফোন করে মঙ্গলবার পরিবারকে মৃত্যুসংবাদ জানান। ছেলের দেহ ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় পুরপ্রধানের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন বাড়ির লোকেরা। কথা হয়েছে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনারের সঙ্গেও। এদিকে বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন স্মিগ্ধদ্বীপের প্যারিসের বন্ধুরা।
[আরও বেশি করে মানুষের সেবা করুন, জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]
মৃত বিজ্ঞানীর বাড়ি উত্তরপাড়ায়। বছর চারেক ধরে প্যারিসে কর্মরত ছিলেন তিনি। ফ্রান্সের গবেষণা করতেন স্নিগ্ধদীপ। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, প্যারিসে এই তরুণ বিজ্ঞানীর অধীনে গবেষণা করতেন অনেক পড়ুয়া। বিদেশে একাই থাকতেন স্নিগ্ধদীপ। উত্তরপাড়ার বাড়িতে থাকেন তাঁর বাবা-মা ও স্ত্রী। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, গত শনিবার শেষবার স্কাইপের মাধ্যমে ছেলের সঙ্গে কথা হয় তাঁদের। তখন সুস্থই ছিলেন স্নিগ্ধদীপ। মাঝে আর কথা হয়নি। মঙ্গলবার আচমকাই আসে মৃত্যু সংবাদ। স্নিগ্ধদীপের বাবা জানিয়েছেন, প্যারিসে যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তাঁর ছেলে, সেই বাড়ির মালিক ফোন করেছিলেন। ফোনে তিনি জানান, সোমবার সকালে অনেক ডাকাডাকি করেও স্নিগ্ধদীপের কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। পুলিশে খবর দেন বাড়ির মালিক। পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে ওই বাঙালি বিজ্ঞানীর দেহ উদ্ধার করে। বাড়িওয়ালার দাবি, পুলিশ জানিয়েছে সম্ভবত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন স্নিগ্ধদীপ।
[বয়স ৫৮ বছর, এতদিনে ভোটাধিকার পেলেন মালবাজারের বিধবা]
তবে বিদেশে ছেলের এভাবে মৃত্যু একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না বাড়ির লোকেরা। পরিবারের দাবি, ঘটনার পর থেকে প্যারিসে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। যেটুকু জানতে পেরেছেন, সবটাই নিজেদের উদ্যোগে। ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁরা। তবে এখন স্নিগ্ধদীপের দেহ যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে আনতে চাইছে পরিবার। স্থানীয় পুরপ্রধানের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তাঁরা। দিল্লির রেসিডেন্ট অফিসারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে স্নিগ্ধদীপের বাবা। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘটনার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় পুরপ্রধান। এদিকে, বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন স্নিগ্ধদীপের প্যারিসের বন্ধুরাও।
[দীর্ঘতম প্রেমপত্র লিখে গিনেস বুকে নাম তুলতে চান বাংলার ‘মিস্টার ভ্যালেন্টাইন’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.