সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্যুতের বিল এই মাসে কত এল, আর আগের মাসের কত এল? সেই হিসেব মধ্যবিত্তরা মোটামুটি মুখস্থই রাখে! প্রতি মাসেই গড়ে প্রায় একইরকম বিদ্যুতের বিলের জন্য হিসেব কষে টাকা বরাদ্দ থাকে, কিন্তু চলতি লকডাউনে ইলেকট্রিক বিলের হিসেব যেন কিছুতেই মিলতে চাইছে না! CESC’র পাহাড়প্রমাণ বিলে চক্ষু চড়কগাছ হচ্ছে অনেকেরই। বিদ্যুতের বিল নিয়ে যখন নাজেহাল কলকাতাবাসী, তখন সেই কোপ থেকে বাদ পড়লেন না খোদ রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেবও!
প্রতি মাসে শোভনদেবের বাড়িতে ইলেকট্রিক বিল আসে গড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার মতো। তবে এবার একধাক্কায় সেই বিল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার টাকা। কী সব্বনাশ! লকডাউনে বাড়িতে কী এমন আলাদা হল, যার জেরে ইলেকট্রিক বিল এতটা বেড়ে গেল? ভেবে কূল পাচ্ছেন না বিদ্যুৎমন্ত্রী খোদ। অতঃপর চিন্তায় ক্যালকুলেটর হাতে হিসেব কষতে বসার জোগাড়।
এপ্রসঙ্গে একাধিক অভিযোগ পেয়ে শোভনদেব (Sobhan Dev) বলেছিলেন, “রোজ প্রচুর অভিযোগ পাচ্ছি। যে সমস্ত উপভোক্তারা এই সমস্যায় পড়েছেন, তাঁরা আমাকে জানান। আমি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। আমি বিশ্বাস করি না যে CESC’র মতো পুরোন একটা প্রতিষ্ঠান আমফানে তাদের ক্ষতির মোকাবিলা করতে গিয়ে গ্রাহকদের বিলের বোঝা বাড়াবে।” এদিকে খোদ তাঁরই বাড়িতে কিনা অন্যান্যবারের তুলনায় প্রায় ৪ গুণ বিল বেশি এল।
গ্রাহকদের অভিযোগ, লকডাউনের মাঝে প্রত্যেক CESC গ্রাহকদের বিদ্যুতের বিল এসেছে তিন থেকে চারগুণ বেশি। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকে সরব হয়েছেন। দিন কয়েক আগেই টলিউড পরিচালক প্রতীম ডি গুপ্তা, তাঁর বাড়ির পর্বতপ্রমাণ বিলের কথা জানিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। নেটজনতাদের ওয়ালে চোখ রাখলেই দেখা মিলছে CESC’র বিরুদ্ধে ভুরিভুরি অভিযোগ। উপরন্তু বাড়তি বিল নিয়ে CESC দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েও কোন সুরাহা হচ্ছে না! এই অবস্থায় শহরবাসী দ্বারস্থ হয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে, কিন্তু কোথায় কী, খোদ রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীই তো বিল বিভ্রাটের শিকার!
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা CESC’র এই ইলেকট্রিক বিল গন্ডগোলের জন্য কিন্তু শহরের সাধারণ মানুষকে বেশ নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে। লকডাউনের জেরে অনেকেই রোজগারহীন হয়েছেন, কাজ খুঁইয়েছেন, কেউ বা আবার পুরো মাসমাইনেও পাচ্ছেন না। আর এমন একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কিনা এত টাকা বিদ্যুৎ বিল মেটাতে হবে! ভেবেই কূল পাচ্ছেন না কলকাতার আমজনতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.