সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের মুখে অনেকেই মুখ ফিরিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) থেকে। দল থেকে বেরিয়েই প্রাক্তন নেত্রীকে অভিযোগে বিদ্ধ করতে ছাড়েননি কেউই। ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার পরও দলত্যাগীদের প্রতি এতটুকুও ক্ষোভ দেখা গেল না তৃণমূল সুপ্রিমোর চোখে-মুখে। উলটে “কেউ ফিরতে চাইলে স্বাগত”, এমনটাই বললেন তিনি।
তৃণমূল ত্যাগীদের তালিকায় প্রথম নাম ছিল শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। বিজেপিতে গিয়ে তিনি সাফল্য পেলেও, বাকি দলত্যগীদের অধিকাংশই ফিরেছেন শূন্যহাতে। যেমন নিজের কেন্দ্র ডোমজুড় থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও সফল হননি প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাঁর দলত্যাগকে ভালভাবে নেয়নি আমজনতা। একইভাবে জয়ের মুকুট পাওয়া তো দূর-অস্ত দ্বিতীয় স্থানও পাননি বৈশালী ডালমিয়া। একইভাবে পরাজিত হয়েছেন প্রবীর ঘোষাল, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শীলভদ্র দত্ত, বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, সব্যসাচী দত্ত-সহ একাধিক দলবদলু নেতা। স্বাভাবিকভাবেই দল বদলেও “দাঁত ফোটাতে” পারেননি যাঁরা, তাঁদের রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে। তবে কি ফের দল পালটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রছায়ায় ফিরবেন তাঁরা? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে। সেই সঙ্গে আরও একটি প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, বিপদ আশঙ্কা করে যে নেতারা দল ছেড়েছিলেন তাঁদের কি ফিরিয়ে নেবেন মমতা?
সোমবার কালীঘাট থেকেই সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মমতা। সাফ বললেন, “যাঁরা ফিরতে চান, ফিরুন না, কে বারণ করেছে, ওয়েলকাম।” অর্থাৎ মান-অভিমান ভুলে পুরনো সৈনিকদের কাছে টেনে নিতে যে কোনও সমস্যা নেই, তা জানিয়ে দিলেন মমতা। উল্লেখ্য, রাজ্যে পরিবর্তন হতে চলেছে, এই আশঙ্কা করে গত কয়েকমাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনেক বিশ্বস্ত সৈনিক দল ছেড়েছিলেন। তবে লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন নেত্রী। বিপুল আসন নিয়ে ফের বাংলা জয় করেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.