গোবিন্দ রায়: সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে (Bengal hooch tragedy) দোষী খোঁড়া বাদশার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সোমবার আলিপুর আদালতের ষষ্ঠ জেলা বিচারক পুষ্পল সৎপতি তার সাজা ঘোষণা করেন। শনিবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। খোড়া বাদশার বিরুদ্ধে ২৭৩, ৩০২, ৩২৬, ৩২৮ এবং ৪৬(এ) ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল।
প্রায় এক দশক আগের ঘটনা। ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার সংগ্রামপুরের কয়েকটি ঠেক থেকে বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয় মোট ১৭৩ জনের। নিহতেরা মগরাহাট, উস্তি, মন্দিরবাজার-সহ ডায়মন্ড হারবার মহকুমার বাসিন্দা। ঘটনার তদন্তভার যায় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা CID’র হাতে। তদন্তে নেমে সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে দু’টি মামলা দায়ের করে সিআইডি। খোঁড়া বাদশার একের পর এক সহযোগী ধরা পড়ে সিআইডি’র জালে। তবে দীর্ঘদিন অধরা ছিল মূল অভিযুক্ত। মাসখানেক ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার পর আত্মসমর্পণ করে খোঁড়া বাদশা (Khora Badshah)। আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালত (Alipore Court) শনিবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। এর আগেও একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত খোঁড়া বাদশা এবং তার স্ত্রী শাকিলা বিবি। ওই মামলায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।
মামলায় মোট ২১ জন CID’র হাতে ধরা পড়লেও বিচারপর্ব শুরু হয় ৯ জনের বিরুদ্ধে। তাদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৩, ৩০২, ৩২৬, ৩২৮ এবং ৪৬(এ) ধারায় ইচ্ছাকৃত খুন, খুনের চেষ্টা, জেনেশুনে বিষ খাওয়ানো, বিপুল সংখ্যক মানুষের ক্ষতিসাধনের মতো একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। বিচারপর্বে উঠে আসে নেশার মাত্রা বাড়াতে মিথাইল অ্যালকোহল এবং বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের মতো একাধিক বিষয়। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তপন মণ্ডল, শাকিলা বিবি, স্বপন মাঝি, বক্রেশ্বর মোদক, রফিক ফকির, সইদুল গাজি, ভীম মিস্ত্রিকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয় আদালত। শম্ভু পাত্র নামে এক অভিযুক্তের আগেই মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় খোঁড়া বাদশার সঙ্গে যাদের ধরা হয়েছিল তারা চোলাই মদ বিক্রেতা। তাদের বিরুদ্ধে বিষ মদ তৈরি করার অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে জেলে কাটানোর পর ওই সাতজনকে প্রমাণের অভাবে খালাস করেছে আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.