সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্মসংস্থানের জন্য ভূস্বর্গে পাড়ি দিয়ে জঙ্গিদের হাতে প্রাণ খোয়াতে হয়েছে। কাশ্মীরের কুলগামে মুর্শিদাবাদের ৫ শ্রমিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর সবরকমভাবে তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। এবার রাজ্যের শ্রমিকদের নিরাপত্তায় আরও এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। জম্মু-কাশ্মীরে কর্মরত এ রাজ্যের সমস্ত বাসিন্দাদের ফেরানোর উদ্যোগ প্রশাসনের। নবান্ন সূত্রে খবর, এবিষয়ে ইতিমধ্যেই কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। রাজ্যের দুই পদস্থ অফিসারকে এর ভার দেওয়া হয়েছে। সূত্রের আরও খবর, আজ রাতের মধ্যেই অনেককে ফেরানো হচ্ছে। ট্রেনে তাঁরা ফিরছেন।
বাংলায় কর্মসংস্থানের অভাব। তাই বাধ্য হয়ে জীবিকার জন্য ভিনরাজ্যে পাড়ি দিতে হয় শ্রমিকদের। আর সেখানে গিয়েই জীবন দিতে হল মুর্শিদাবাদের ৫ শ্রমিককে। গত মঙ্গলবার কুলগামে বাঙালি শ্রমিক খুনের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এভাবেই পরোক্ষে রাজ্য সরকারের উপর দায় চাপিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। জঙ্গিদ হামলায় শ্রমিক মৃত্যু ঘিরে রাজনীতির পালটা অভিযোগে বিজেপিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল শাসকদল তৃণমূল। এনিয়ে টানাপোড়েন কম হয়নি। কিন্তু পরিস্থিতি বুঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ফের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজ্যবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থেই ফের মানবিক হয়েছে প্রশাসন। তাই কাশ্মীরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত বাংলার শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয়েছে নবান্ন।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এই নির্দেশ পেয়েই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। দুই পদস্থ আধিকারিককের উপর ভার দেওয়া হয়েছে, গোটা বিষয়টি দ্রুত কার্যকর করার। সেইমতো তাঁরাই কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এরাজ্যের শ্রমিকদের খোঁজখবর করে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটি করছেন। সব ঠিকঠাক থাকলে, আজ থেকেই ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার রাতের ট্রেনেই বেশ কয়েকজন শ্রমিক কলকাতায় ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে। ধাপে ধাপে সকলকে ফেরানো হবে। এরপর রাজ্য সরকার তাঁদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেবে, এই সম্ভাবনাও দেখছেন অনেকেই।
আর জঙ্গি হামলার মতো আতঙ্কের পরিবেশে থাকতে হবে না। নিজের ঘরে ফিরে, নিশ্চিন্তে কাজ করে দিন চালাতে পারবেন – এই আশা এত দ্রুত বাস্তবায়িত হওয়ায় কিছুটা নিশ্চিন্তে ভূস্বর্গে কর্মরত বাঙালি শ্রমিকরা। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে তাঁদের পরিবারও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.