সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেতাজির জন্মজয়ন্তী (Netaji 125th Birth Anniversary) পালন ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন তুঙ্গে। ২৩ জানুয়ারি দিনটিকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কিন্তু তাদের এই সি্দ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে রাজ্য সরকার। উলটে ২৩ জানুয়ারি দিনটিকে দেশনায়ক দিবস (Deshnayek Diwas) হিসেবে পালনের ঘোষণা করেছে রাজ্য। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? শনিবার সেই উত্তর দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ এলগিন রোডের নেতাজি ভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে কয়েক মিনিটের বক্তব্য রাখেন তিনি। এর মাঝেই দেশনায়েক দিবসের ব্যাখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি পরাক্রম দিবসকে কার্যত ব্যঙ্গ করেন মমতা। জানিয়ে দেন, “নেতাজি মানে আবেগ, নেতাজি মানে দর্শন। নেতাজির পরিবার বাঙালির কাছে সবচেয়ে বড় আবেগ। তাঁরা বাঙালির ভীষণ কাছের আত্মীয়। শুধুমাত্র ভোটের আগে তাঁদের কাছে আসা চলে না। সারা বছর তাঁদের পাশে থাকতে হয়।” তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরসূচিতে শেষ মুহূর্তে যুক্ত হয়েছে নেতাজি ভবনের নাম। অর্থাৎ এদিন নেতাজির পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে এদিন প্ল্যানিং কমিশন তুলে দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “দেশের প্ল্যানিং কমিশনের পরিকল্পনা ছিল নেতাজির মস্তিষ্ক প্রসূত। কেন সেই প্ল্যানিং কমিশন তুলে দিল কেন্দ্র?” আজ সকলের সামনে তা জানতে চাইবেন বলে জানিয়েছেন মমতা। পরাক্রম দিবস নিয়ে তিনি বলেন, “এটা কোন ভাষা? আমি জানি না।” মমতা আরও বলেন, “অনেকে জানতে চাইছেন কেন এ দিনটিকে দেশনায়ক দিবস হিসেবে পালন করছে রাজ্য? কারণ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথমবার নেতাজিকে দেশনায়ক বলে ডেকেছিলেন। তাই এই নামেই দিনটা পালন করছি।”
তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। টুইটারে তিনি লেখেন, “অনেক ভেবেচিন্তা দিনটিকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সমস্ত কিছুতে বিরোধিতা করা উচিৎ নয়। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী।”