সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে খুব বেশি হলে এক থেকে দেড়মাস। তারপরই কলকাতা পুরসভায় ভোটের বাদ্যি বেজে যাবে। তা মিটলেই রাজ্যের বাকি পুরসভা, পুরনিগমের নির্বাচন। তার আগে জনসমর্থন টেনে রাখতে একেবারে মাস্টারস্ট্রোক রাজ্য সরকারের। ভোটের আগে রাজ্যের পুরসভা ও পুরনিগমগুলিতে নিয়োগ করা হবে প্রচুর কর্মী। সোমবার এই প্রস্তাবে সিলমোহর দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা।
রাজ্যের ১১৫টি পুরসভা ও সাতটি পুরনিগমের ভোট আগামী এপ্রিলে। মে মাসের মধ্যে পুর নির্বাচনের গোটা প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। তারপর একুশের বিধানসভা নির্বাচন। তাকে পাখির চোখ করেই মূলত পুরভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। মুখ্যমন্ত্রীই হোন আর তৃণমূল নেত্রী, আর যে কোনও নির্বাচনে দুই ভূমিকাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একমাত্র শক্তিশালী হাতিয়ার – জনসমর্থন।
২০১১-এ সালে এই রাজ্যের শাসনক্ষমতায় আসার আগে এবং পরে এই অস্ত্রটিকে কখনওই ভোঁতা হতে দেননি তিনি। একদিকে বিপুল উন্নয়নের কাজ, আরেকদিকে ছোট ছোট ধাপে একাধিক কর্মসংস্থান তৈরি করে মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি জননেত্রী ছিলেন, জননেত্রীই আছেন। পুরভোটের আগেও সেই কর্মসংস্থানের পথেই আস্থা রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পুরভোটের আগেই রাজ্যের মোট ১২২টি পুরসভা ও পুরনিগমে নিয়োগ করা হবে অন্তত ৪০০ কর্মী। ভোটকে সামনে রেখেই যে এই সিদ্ধান্ত, তা বুঝতে বাকি নেই কারও। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে খুশি আমজনতা। কাজের সুযোগ এল বলে!
আগামী ৭ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন। ১০ তারিখ বাজেট পেশ। এসব নিয়ে আজ বৈঠকে বসেছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। সেখানেই ঠিক হয়েছে, পুরসভা ও পুরনিগমগুলিতে কর্মী নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি, শিক্ষকদের নিজের জেলায় পোস্টিংয়ের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিক্ষা দপ্তর, আজ তাতেও সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। বাজেট অধিবেশনে এই দুটি সিদ্ধান্তই কার্যকর করার রাস্তা মসৃণ করে নেওয়ার লক্ষ্য শাসকদলের। ৭ তারিখ বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণ নিয়েও এদিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজকের বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসা বিষয়গুলি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের কাছে পৌঁছে দিতে সন্ধেবেলাই ফের রাজভবনে যাচ্ছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.