তরুণকান্তি দাস: পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৭ মে শেষ হচ্ছে দেশে তৃতীয় দফা লকডাউনের মেয়াদ। তারপর কোন পথে এগোবে দেশ, তার দিশা পেতে সোমবারই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁদের পরামর্শ চেয়েছেন।
এবার নিজের রাজ্যের ক্ষেত্রে সেই রূপরেখা ঠিক করতে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বিকেলে নবান্ন সভাঘরে তিনি জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। আরও কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যায়, তা নিয়ে কথা হতে পারে। রাজ্যের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি কেমন, কতটা উন্নতি হল, চিন্তাই বা থাকল কোন জোনে, তাও খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই খবর নবান্ন সূত্রে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিয়েছিলেন বিশেষ প্রয়োজনে কিছু কিছু আর্থিক ক্ষেত্রে কাজকর্ম কিছুটা স্বাভাবিক করার পক্ষে পশ্চিমবঙ্গ। তবে লকডাউন চালিয়ে যাওয়ায় রাজ্য প্রশাসনের কোনও আপত্তি নেই আপাতত। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও তিনটি রাজ্য লকডাউনের পক্ষে মত দিয়েছিল। এরপর রাজ্যগুলিকে দিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, আর কী কী ক্ষেত্রে ছাড় দিলে করোনা সংক্রমণ ঠেকিয়ে রেখেও জনগণের কিছুটা সুরাহা করা যায়, তার বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করতে হবে। সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রক বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে। সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে আগামী ১৭তারিখের পর।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে আর কোন কোন বিষয়ে ছাড় দেওয়া যায়, তা ঠিক করতেই মূলত আজকের বৈঠক। মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জেলাগুলি থেকে দুপুরের মধ্যে সর্বশেষ পরিস্থিতির রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে সেই রিপোর্ট দেখে তারপর স্থির করা হবে, কোথায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তার আগে জেলা থেকে আসা রিপোর্টগুলো নিয়ে নবান্নে একপ্রস্থ আলোচনা সারবেন আধিকারিকরা। এই বৈঠকের পর রাজ্যের অরেঞ্জ ও রেড জোনের ক্ষেত্রে কী কী ছাড় দেওয়া যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রকে জানানো দেখে নেওয়া হবে রেড জোনের পরিস্থিতিও। প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর নিজে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে একবার আলোচনা সেরে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। রাজ্যের কর্মক্ষেত্রগুলিতে ছাড়ের ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.