রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: লক্ষ্য ছিল এক কোটি। সে লক্ষ্য এখন অলীক কল্পনার মতো। সদস্য সংগ্রহ অভিযানে কোনওক্রমে পাশ মার্কস পেল বঙ্গ বিজেপি। ডিসেম্বর শেষে মিসড কল দিয়ে সদস্য সংগ্রহে বিজেপি কোনওক্রমে পৌঁছেছে ৩৮ লক্ষে।
ডিসেম্বরের ২০ তারিখ সদস্য সংগ্রহ নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে ধমক খেতে হয় বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। তখনও পর্যন্ত সদস্য করা গিয়েছিল মাত্র ২৬ লক্ষ ৯৩ হাজার জনকে। যা ছিল মূল টার্গেটের থেকে শত যোজন দূরে। কেন্দ্রীয় নেতাদের ধমক খেয়ে পরবর্তী ১১ দিনে জোরকদমে সদস্য সংগ্রহের কাজটি করেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু তাতেও মূল টার্গেটের ধারেকাছে পৌঁছনো গেল না। ডিসেম্বর শেষে বিজেপির মিসড কল সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ লক্ষ। যদিও কেউ কেউ বলছেন, এবার ২৭ লক্ষ সদস্য আসল। বাকি ভুয়ো নাম দেওয়া হয়েছে।
২০ ডিসেম্বর দলীয় বৈঠকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বলেছিলেন, সারা দেশে যে কোনও পরীক্ষায় পাস করতে হলে অন্তত ৩৪ নম্বর পেতে হয়। তখন রাজ্য বিজেপির সদস্য হয়েছিল ২৬ লক্ষ মতো। অর্থাৎ তখনও পাশ মার্কস অর্জন করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত বছর শেষে ৩৪ লক্ষের ‘পাশ মার্কস’ অতিক্রম করল রাজ্য বিজেপি। যদিও লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক দূরে তারা। রাজ্য নেতারাও মেনে নিয়েছেন, ওই লক্ষ্যে পৌঁছনো আর সম্ভব নয়। ২০১৮ সালে শেষ সদস্য সংগ্রহ হয়েছিল বিজেপির। সেবার ৮২ লক্ষ মিসড কল সদস্য জোগাড় হয়। এবার সেই সংখ্যাটারও ধারেকাছে পৌঁছনো গেল না। এই বিতর্কের মধ্যেই এবার সক্রিয় সদস্য এবং মণ্ডল সভাপতি, জেলা সভাপতি নির্বাচন প্রক্তিয়া শুরু হবে।
বিজেপির সদস্য প্রথম সারিতে থাকা পাঁচটি জেলা হল নদিয়া দক্ষিণ, বিজেপি রাজ্য সভাপতির সুকান্ত মজুমদারের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর, তমলুক, জলপাইগুড়ি এবং নদিয়া উত্তর। এই পাঁচ জেলাতেই লক্ষাধিক সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর জেলা কাঁথি ষষ্ঠস্থানে স্থান পেয়েছেন। অন্তিম সারিতে রয়েছে, দার্জিলিং, ডায়মন্ড হারবার, জঙ্গিপুর, বসিরহাট এবং জয়নগর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.