ফাইল ছবি
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বাড়ি বাড়ি পোস্ট কার্ড পৌঁছে দেবে বিজেপি কর্মীরা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) পাশের জন্য সেই পোস্ট কার্ডে চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানাবে বাংলার মানুষ। পশ্চিমবঙ্গ থেকে CAA’র সমর্থনে এরকম ১ কোটি চিঠি মোদির কাছে পাঠাচ্ছে বিজেপি। নতুন বছরের শুরু থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে জনমত গঠনে নামছে গেরুয়া শিবির।
CAA’র সমর্থনে কলকাতায় মহামিছিল কর্মসূচি সেরে দিল্লি ফিরে যাওয়ার আগে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ কয়েকজন নেতার সঙ্গে অল্প সময় বৈঠক করেন দলের সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডা। সেখানে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, CAA নিয়ে তৃণমূলের প্রচারের পালটা প্রচারে প্রতিটা বুথের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে। বৈঠকে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকরা ছাড়াও ছিলেন দলের রাজ্যে দলের সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন।
CAA’র সমর্থনে সোমবার কলকাতায় বিজেপির মহামিছিল দেখে জে পি নাড্ডা বলেছেন, বাংলার মানুষ CAA’র পক্ষে। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেই আছে তাঁরা। একইসঙ্গে সিএএ ইস্যুতে তৃণমূলের বিরোধিতায় বাংলায় দলের পালটা প্রচার কৌশল কী হবে সেই সুরও বেঁধে দিয়েছেন নাড্ডা। কেন্দ্রীয় সরকার যখন CAA করে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দিতে চলেছে তখন তার বিরোধিতা করছে তৃণমূল। বলেছেন নাড্ডা। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর বক্তব্য, “বাঙালি হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী। এটাই প্রচারে তুলে ধরব আমরা।”
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, CAA নিয়ে বিরোধীদের দেশজুড়ে আন্দোলনের পালটা হিসেবে রাস্তায় নেমেছে বিজেপি। দেশের প্রতিটি রাজ্যে জনসভা, মিটিং, মিছিলের পাশাপাশি তিন কোটিরও বেশি পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে CAA নিয়ে বোঝানোর জন্য দশদিনব্যাপী ‘জনসম্পর্ক অভিযান’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তারা। গত রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে জনসভার মাধ্যমে সেই কর্মসূচির সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর পরদিন সোমবার, কলকাতায় CAA’র সমর্থনে কর্মসূচির সূচনা করে গিয়েছেন জে পি নাড্ডা।
এদিকে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ফের বিরোধিতার সুর শোনা গিয়েছে রাজ্য বিজেপির সহসভাপতি চন্দ্র বসুর মুখে। টুইটে তাঁর প্রশ্ন, যদি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কোনও ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত না হয়, তাহলে আমরা কেন শুধু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পার্সি ও জৈনদের কথা বলছি। কেন এর পাশাপাশি মুসলিমদের অন্তর্ভূক্ত করছি না। এ নিয়ে স্বচ্ছ থাকা দরকার। টুইটে তিনি বলেছেন, ভারতকে অন্য কোনও দেশের সঙ্গে তুলনা করবেন না। আমাদের দেশ সব ধর্ম ও সব সম্প্রদায়ের জন্য উন্মুক্ত। CAA নিয়ে দলের সহ-সভাপতি চন্দ্র বসুর এই টুইট ফের অস্বস্তিতে ফেলেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.