Advertisement
Advertisement
বিজেপি

CAA সমর্থনে টোল ফ্রি নম্বরে মিসড কল দিন, বাড়ি বাড়ি প্রচার করবে বিজেপি

সাতদিন বুথে বুথে ঘুরতে হবে নেতাদের।

Bengal BJP likely to go door to door campaign for CAA
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:January 4, 2020 9:34 pm
  • Updated:January 4, 2020 9:34 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শুধু মিটিং-মিছিল করেই ছাড় নেই। সিএএ নিয়ে প্রচার করতে রাজ্য ও জেলার নেতাদের টানা সাতদিন বাড়ি বাড়ি ঘোরার নির্দেশ গেরুয়া শিবিরের। পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে সমর্থন জানানোর জন্য টোল ফ্রি নম্বরে মিসড কল চালু করল বিজেপি। সিএএ সমর্থন করলে প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের নির্দিষ্ট ওই টোল ফ্রি নম্বরে মিসড কল দেওয়ারও আবেদন জানাবে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যাওয়া বিজেপি নেতা-কর্মীরা। একইসঙ্গে সিএএ নিয়ে বিশেষ পুস্তিকা তুলে দেওয়া হবে প্রতিটি পরিবারের হাতে। কলকাতায় বিজেপির রাজ্য দপ্তরে এই পুস্তিকার আজ আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় সভা-মিছিলের পর রাজ্যজুড়েই CAA’র বিরোধিতায় প্রচার চালাচ্ছেন। প্রচারে নেমেছে বাম ও কংগ্রেসও। এই পরিস্থিতিতে CAA’র পক্ষে পালটা প্রচার চালিয়ে জনমত গড়তে আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে বুথে বুথে যাবেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। ১৬ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই প্রচার কর্মসূচি। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর কথায়, ‘এনআরসির সঙ্গে CAA’র কোনও সম্পর্ক নেই। এখানকার নাগরিকদের কোনও নথি লাগবে না। এই আইন হিন্দু উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। কারও নাগরিকত্ব কাড়ার নয়। এই বিষয়গুলি আমরা তুলে ধরব মানুষের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সিএএ নিয়ে যে ভুল প্রচার চালাচ্ছে সেটাকে মোকাবিলা করা , খণ্ডন করাটাই আমাদের লক্ষ্য।’

Advertisement

তিনি জানান, সিএএ নিয়ে এই প্রচার কর্মসূচিতে সারা রাজ্যে ১ কোটি পরিবারের কাছে যাবে গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। কেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন দরকার, কেন্দ্রীয় সরকার কেন চাইছে দ্রুত এই আইন কার্যকর করতে, এসবই প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে তাঁর তুলে ধরবেন জনমানসে। তৃণমূলের মিটিং-মিছিলের পালটা হিসেবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই জনসংযোগকেই হাতিয়ার করতে চলেছে বিজেপি। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও এই সিএএ নিয়ে জনমত গড়ে তুলতে বঙ্গ বিজেপি পথে নামছে। প্রতিটি জেলায় দলের তথ্য-প্রযুক্তি টিমকে নিয়ে আলাদা করে বৈঠক শুরু করেছে দল নেতৃত্ব। শনিবার বসিরহাট ও বারাসতের এ বিষয়ে বৈঠকে ছিলেন সায়ন্তন বসু। জানা গিয়েছে, ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটস আপের মাধ্যমে একেবারে বুথস্তর পর্যন্ত প্রচার হবে। এজন্য একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement