ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গত কয়েকদিন বিধানসভা চত্বরে শাসক-বিরোধীদের বিক্ষোভের ছবিটা প্রায় চেনা হয়ে গিয়েছে। আর তাতে বিস্তর শোরগোল, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতি – দুদিন ধরে বিজেপি, তৃণমূলের লাগাতার ধরনা কর্মসূচির পর শুক্রবার আবার বিজেপির ‘শুদ্ধিকরণ’ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভা চত্বর (WB Assembly)। আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশ গঙ্গাজল দিয়ে ধুইয়ে ফুল ছড়িয়ে, জাতীয় সংগীত গেয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন বিজেপি বিধায়করা। নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এনিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। এর জন্য স্পিকারের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মার্শালকে। আম্বেদকর মূর্তির নিচে গঙ্গাজল দিয়ে ধোয়ার মতো সাহস দেখাল কী করে বিরোধীরা? বিধানসভার নিরাপত্তা নিয়ে মার্শালকে এমনই প্রশ্ন করেন তিনি। এর পরই কড়া নিয়ম জারি করেন, স্পিকারের অনুমতি ছাড়া বিধানসভা চত্বরের কোথাও কোনও বিক্ষোভ দেখানো যাবে না।
শুক্রবার স্পিকার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ”গত দুদিনে বিরোধী দলের সদস্যরা বিধানসভায় যে আচরণ করেছেন, তা নিন্দনীয়। সরকার পক্ষের সদস্যরা আমার অনুমতি নিয়ে ধরনায় বসেছিলেন। কিন্তু বিরোধীরা কোনও অনুমতি নেননি। সিঁড়ির সামনে বসে লোকজনের চলাফেরায় বাধা, সেইসঙ্গে এমন অঙ্গভঙ্গি করছিলেন, যাতে শান্তিভঙ্গের যথেষ্ট কারণ ছিল। আজ আমি অর্ডার দিয়ে বলেছি, এই অধিবেশনের মাঝে যদি কারও ধরনায় বসতে হয়, তাহলে আমার অনুমতি নিতে হবে। নইলে কোনও বিক্ষোভ, ধরনা করা যাবে না। লবি বা আম্বেদকরের মূর্তির নিচে করতে হলে অনুমতি নিয়ে করতে হবে।” নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁর আরও নির্দেশ, কাজের সময়ের বাইরে কেউ বিধানসভায় থাকবে না।
এর পর স্পিকার নিরাপত্তারক্ষীদের ডেকে নির্দেশ দেন, আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে যাতে কেউ না ধরনায় বসতে পারেন, তা দেখতে। গোটা চত্বরেই মোতায়েন করা হয় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে। ছিলেন কালো শাড়ি পরিহিতা মহিলারাও। তাঁরা আম্বেদকর মূর্তির নিচে বসে ছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.