সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেলেঘাটা কাণ্ডের তদন্তে প্রতিমুহূর্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। অভিযুক্ত সন্ধ্যা মালো জৈনের মোবাইল ফোন থেকে হদিশ মিলল হরিয়ানার এক যুবকের। তবে কি সন্তানের প্রতি এই নৃশংস আচরণের পিছনে বড়সড় ভূমিকা রয়েছে ওই যুবকের? উঠছে প্রশ্ন।
১৫ দিন ধরে ঠান্ডা মাথায় সন্তানকে খুনের ছক। তারপর বাজপাখির মতো সুযোগের অপেক্ষা। ঠিক সময়ে মোক্ষম চাল। কোনওকিছুতেই এতটুকুও ফাঁক রাখেনি বেলেঘাটা সিআইটি রোডের অভিজাত আবাসনের বাসিন্দা সন্ধ্যা মালো জৈন। কিন্তু তা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হয়নি। গোটা দিন পুলিশের চোখে ফাঁকি দিতে বিস্তর নাটক করলেও অবশেষে দোষ কবুল করতে বাধ্য হয় ওই মহিলা। নিজেই গোটা ঘটনার বর্ণনা দেয় সে। কিন্তু কেন? তার উত্তরই ছিল অজানা। বারবার সন্ধ্যা দাবি করে যে, সন্তানকে নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন। বিরক্ত বোধ করছিলেন সেই কারণেই খুনের ছক। মনোবিদদের কথায়, অনেক ক্ষেত্রেই সন্তান জন্মের পর মায়েরা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু এসবের পরও ঘটনার পিছনে লুকিয়ে থাকা আসল কারণ হাতরাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। রহস্যের জট খুলতে সন্ধ্যা মালোর মোবাইল ফোনটি খতিয়ে দেখা হয়।
সেই মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখার পরই তদন্তকারীদের হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জেরার মুখে ভেঙে পড়ে সে। পুলিশের দাবি, সন্ধায় জানায়, বিয়ের আগে থেকেই হরিয়ানার এক যুবকের সঙ্গে কথা হত তার। প্রায় ১০ বছরের যোগাযোগ তাদের। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সন্ধ্যার। তবে কি সেই সম্পর্কের জেরেই এই খুন? গোটা ঘটনায় কীভাবে জড়িত হরিয়ানার ওই যুবক, খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। সেইসঙ্গে নৃশংসতার যে দেখা গিয়েছে তাঁদের তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন জেগেছে যে সন্তানটি আদতে সন্ধ্যার কি না। সেই কারণেই খুদে সানায়ার ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.