অর্ণব আইচ: বেলেঘাটা বিস্ফোরণ (Beleghata Blast) কাণ্ডের তদন্তে এবার ক্লাবের কর্মকর্তা ও সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করল পুলিশ। বুধবার কয়েকজন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইন, মারাত্মক আঘাতের চেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করলেও ফরেনসিকের প্রাথমিক পরীক্ষার পর পুলিশের অনুমান, ক্লাবের ভিতরেই বোমা মজুত করা ছিল। ক্লাবের ভিতরে কারা, কখন এই বিস্ফোরক বা বোমা রাখল, তা জানতেই শুরু হয়েছে পুলিশের তদন্ত।
মঙ্গলবার সকালে বেলেঘাটা মেন রোডে গান্ধী আশ্রমের কাছে একটি ক্লাবে বিস্ফোরণ হয়। তাতে উড়ে যায় ছাদ লাগোয়া ক্লাবের দেওয়াল ও চাল। যদিও প্রথম থেকেই ওই ক্লাবের সদস্যরা দাবি করছিলেন যে, বাইরে থেকে কেউ ক্লাবের দেওয়ালে বোমা ছুঁড়েছে। তবে বাইরে থেকে বোমা ছুঁড়লে এই ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান ছিল পুলিশ। পরে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল পরীক্ষা করার পর পুলিশকে জানান, তাঁদের ধারণা, ছাদে ওঠার সিঁড়ির কাছেই একটি জায়গায় কিছু বোমা রাখা ছিল।
পুলিশের ধারণা, বাইরে থেকে কেউ বোমাগুলি নিয়ে এসে রাখতে পারে ওই জায়গাটিতে। কিন্তু কেন রাখবে? এই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে। ওই ক্লাবে প্রচুর সদস্য ক্লাবের দোতলায় ক্যারাম খেলেন, টিভি দেখেন। নীচে কম্পিউটার ক্লাস চলে। ওই সময় বিস্ফোরণ হলে আরও বড় অঘটন হতে পারত। ক্লাবের কর্মকর্তা ও সদস্যরা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, রাতে বন্ধ করার পর কাদের কাছে ক্লাবের চাবি থাকত। রাতে ক্লাবের কেউ ভিতরে না থাকলেও, কাদের প্রবেশ করার সম্ভাবনা ছিল। ক্লাব কর্তাদের দাবি অনুযায়ী, যদি বাইরের কেউ বোমা ছুঁড়ে থাকে, তার কারণ কী? আর যদি পরিকল্পনামাফিক বোমা মজুত করা হয়ে থাকে, তার নেপথ্যে কোন কারণ রয়েছে, তাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.