Advertisement
Advertisement

Breaking News

Behala Murder Case

বেহালা তরুণী হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদ! প্রায় আড়াই মাস পর গ্রেপ্তার মৃতার প্রেমিক

প্রেমিককে স্বামী পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন মৃতা তরুণী।

Behala Murder Case: Accused Kartick Das arrested

প্রতীকী ছবি

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 31, 2025 12:37 pm
  • Updated:March 31, 2025 12:37 pm  

অর্ণব আইচ: বেহালা তরুণী হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদ। ২ মাসেরও বেশি সময় গা ঢাকা দিলেও শেষরক্ষা হল না। অবশেষে গ্রেপ্তার মৃতার প্রেমিক। ধৃত কার্তিক দাসের হদিশ দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল কলকাতা পুলিশ।

ঘটনার সূত্রপাত জানুয়ারিতে। স্বামীর সঙ্গে থাকবেন বলে বেহালা ডায়মন্ড পার্ক এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন এক যুবতী। একটা গোটা দিন কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়ায় সন্দেহ হয় বাড়ির মালিকের। ২৩ জানুয়ারি, দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি ঘরের দরজার সামনে গিয়ে দেখতে পান রক্তের চিহ্ন। দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই তাঁর চোখে পড়ে হাড়হিম করা দৃশ‌্য। দেখেন, ঘরের মেঝেয় পড়ে রয়েছে যুবতীর রক্তাক্ত দেহ। তাঁর হাত ও পা বাঁধা। মুখে গোঁজা রয়েছে কাপড়। নৃশংসভাবে গলা কেটে খুন করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনাস্থলে যান পুলিশকর্তারা। যান লালবাজারের গোয়েন্দারাও। পুলিশ কুকুর খুনির খোঁজ শুরু করে। তদন্তে ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র। ঘর থেকে যুবতীর মোবাইল ও ভর্তি মদের বোতলও পুলিশ উদ্ধার করে।

এই খুনের ঘটনা সামনে আসার পর যুবতী ও তাঁর স্বামীর পরিচয় ঘিরেই সৃষ্টি হয় রহস‌্য। যে আধার কার্ডটি বাড়িওয়ালাকে জমা দেওয়া হয়, সেটিতেও কোনও কারচুপি থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারণা ছিল। ফলে যুবতীর পরিচয় নিয়ে ধন্দে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে আধার কার্ড ও বাড়িওয়ালার কাছ থেকে হরিদেবপুর থানার পুলিশ জানতে পারে যে, ওই মহিলার নাম মলিনা দাস। যদিও রাতেই ঘটনার মোড় ঘোরে। এক ব‌্যক্তি পুলিশের কাছে দাবি করেন যে, নিহত যুবতী তাঁর মেয়ে। মেয়ের নাম মলিনা নয়, ছায়া সর্দার। তাঁদের বাড়ি বেহালার শীলপাড়ায়। ওই যুবতী পরিচারিকার কাজ করতেন। তাঁর এই দাবি খতিয়ে দেখা হয়। এদিকে মৃত যুবতী বাড়িওয়ালাকে জানিয়েছিল, তাঁর স্বামীর নাম কার্তিক দাস। এক যুবক ওই যুবতীর ঘরে আসতেন। ঘটনার পর থেকে যুবকটির সন্ধান মিলছিল না। ফলে তিনি যুবতীর স্বামী না কি লিভ ইন পার্টনার, ওই যুবকের নাম আদৌ কার্তিক দাস কি না, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। প্রায় আড়াই মাস পর অবশেষে কার্তিক দাসের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। কলকাতা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মৃতার সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ধৃত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement