স্টাফ রিপোর্টার: ডাক্তার ও রোগীর সম্পর্কের উন্নয়ন প্রয়োজন। বিধানসভায় বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বলেছেন, “সরকারি-বেসরকারি দুই ক্ষেত্রেই ভালভাবে চিকিৎসকদের চিকিৎসা করাটা জরুরি। রোগী ও তার পরিবারের সঙ্গে মিষ্টি ব্যবহার করা দরকার। রোগীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। বহু দূরদূরান্ত থেকে রোগীরা চিকিৎসা করাতে আসেন। আবার এটাও সচেতন করতে হবে যে, কোনও চিকিৎসকের গায়ে হাত দেওয়াটাও ঠিক নয়।” শুধু শাস্তিই যে সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ নয় সেটাও এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন মমতা। এদিন বিধানসভার প্রশ্নোত্তরপর্বে সম্প্রতি এনআরএস হাসপাতালের অশান্তি ও জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির বিষয়টি উল্লেখ করেন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা মানবিকভাবেই দেখি সবকিছু। ২০০৮ সালে বিজেপি এসমা জারি করেছিল। ২০০৯ সালে আপ সরকারও এসমা জারি করে। ২০০৯ সালে গুজরাটে নরেন্দ্র মোদির সরকার এসমা জারি করেছে ও ডাক্তারদের গ্রেপ্তার করেছিল। আমরা এসব করিনি। আমরা মনে করি ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা আন্দোলন করছে। মানবিকভাবে দেখেছি। কথা বলেছি। আইন, শাস্তি তো করাই যায়। কিন্তু ভালবেসে যদি কিছু করা যায়। সেই চেষ্টাই করেছি।” এনআরএসের ঘটনার পর সুরক্ষায় যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের প্রশ্নের উত্তরে সেগুলি বিস্তারিত জানান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিধানসভায় বেহালার কাউন্সিলরদের নিয়ে নিজের ঘরে বৈঠক করেন কলকাতার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পরে মুখ্যমন্ত্রীও তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। পরামর্শ দেন একসঙ্গে কাজ করার। জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর জ্যোতি বসু রিসার্চ অ্যাকাডেমির জমিজট নিয়ে সিপিএম নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সুজন চক্রবর্তী, অশোক ভট্টাচার্য ছাড়াও ছিলেন রবীন দেব।
চেন্নাইয়ে জলসঙ্কটে রাজ্যে জলের অপব্যবহার নিয়েও এদিন বিধানসভায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “চেন্নাইয়ে নাকি জল মিলছে না। স্কুল-কলেজ বন্ধ। রেস্তরাঁ বন্ধ। ভূগর্ভস্থ জল নাকি মিলছে না। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জেরেই এই সঙ্কট।” সমীক্ষায় এ রাজ্যেও কয়েকটি ব্লকে জল সমস্যা রয়েছে বলে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় জানান। তাই রাজ্যে ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও জলাশয় বাড়ানোর কথাও বলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “জলের অপচয় কমাতেই হবে। যতটা জলের প্রয়োজন ততটাই ব্যবহার করতে হবে। বিদ্যুৎ অপচয় করা হয়। রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে দেখি জল পড়ে নষ্ট হচ্ছে। কেউ কল বন্ধ করি না। এটা একটা সামাজিক সমস্যা। জল অপচয় রুখতে হবে।” জনপ্রতিনিধিদেরও এ বিষয়ে উদ্যোগী হওয়া দরকার বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.