প্রতীকী ছবি
অর্ণব আইচ: বারুইপুরের খালে মিলেছিল অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির পচাগলা দেহ। তদন্ত শুরু হতেই বের হল কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! সন্দেহজনক অনলাইন লেনদেনের সূত্র ধরেই রহস্যের সমাধান করল বারুইপুর থানা পুলিশ। জানা গেল, টাকার লোভে জুতোর দোকানের মালিককে খুন করেছে পরিচিতরাই।
মৃত ব্যবসায়ী সোনু রাম। বয়স ২৮ বছর। কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে জুতোর দোকান ছিল তাঁর। ৩১ জানুয়ারি রাত ৮টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে অনুপ মণ্ডলের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় স্ত্রীয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। জানিয়েছিলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসবেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি সোনু। ফোনও ধরেননি। রাতেই পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু হদিশ মিলছিল না। নিখোঁজ ছিলেন সঙ্গী অনুপও।
এদিকে ৫ ফেব্রুয়ারি বারুইপুরের খাল থেকে একটি পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। তদন্ত শুরু হতেই জানা যায় উদ্ধার হওয়া দেহটি সোনু রামের। দেখা যায়, খুনের দিনই তাঁর ফোন থেকে ১ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল অমিত নস্কর নামে একজনের অ্যাকাউন্টে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ফাঁস ষড়যন্ত্র! সোনারপুরের বাসিন্দা অমিত জানায়, কিউআর কোড স্ক্যান করে অনুপ মণ্ডল এবং দীপ হালদার ওই টাকা পাঠিয়েছিল। এরপরই অনুপকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধৃত অনুপ স্বীকার করে ব্যবসায়ী সোনুকে খুন করে দেহটি বারুইপুর খালে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এই কুকীর্তির সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত রয়েছে। তদন্তে নেমে মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এখনও একজন পলাতক। ধৃতরা হল অনুপ মণ্ডল, দীপ হালদার, খোকন বৈদ্য এবং প্রদীপ নয়াবান। সোনুকে খুনের পর দেহ খালে ফেলার জন্য গাড়ি ব্যবহার করেছিল অভিযুক্তরা। তার চালক ছিল প্রদীপ। এখনও পলাতক রঞ্জন চক্রবর্তী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.