সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর আগেই নারদ মামলায় তদন্তের গতি বাড়ল সিবিআই। এবার তলবে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির কলকাতার দপ্তরে হাজিরা দিলেন বারসতের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার।
[আরও পড়ুন: আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কলকাতায় ধেয়ে আসছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত]
বৃহস্পতিবার, নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের সদর দপ্তরে দেখা যায় কাকলি ঘোষদস্তিদারকে। নারদ মামলায় তদন্তকারী সংস্থাটির ডাকে কণ্ঠস্বরের নমুনা (ভয়েস স্যাম্পল) জমা দিতে এদিন হাজির দেন ওই তৃণমূল সাংসদ। অভিযুক্তদের মধ্যে নাম রয়েছে বারসতের সাংসদ কাকলির। নারদ নিউজের দাবি, রাজ্য রাজনীতিতে সাড়া ফেলে দেওয়া স্টিং অপারেশনে গোপন ক্যামেরার সামনেই আইন বহির্ভূতভাবে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছিলেন। গত সোমবারই তাঁকে সমন পাঠায় সিবিআই। সেইমতো এদিন তদন্তকারী সংস্থাটির অফিসে পৌঁছান তিনি।
এই প্রসঙ্গে কাকলি বলেন, “আমি দেশের আইন মেনে চলা এক নাগরিক। সেইমতো মহামান্য আদালতের নির্দেশে তদন্তে সহযোগিতা করব। তদন্তের স্বার্থে আমাকে যতবার ডাকা হবে, ততবার আসব। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এর নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে তা জানতে হবে।” প্রসঙ্গত, নারদ মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর। অভিযোগ-পালটা অভিযোগে মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অযথা হয়রানি করার অভিযোগও এনেছেন শাসকদলের অনেকেই।
সম্প্রতি, নারদ স্টিং অপারেশনের তদন্তে নেমে ২৭ আগস্ট মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয় স্যামুয়েল ও কেডি সিংকে। সেই জেরায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্যামুয়েলের দাবি, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর স্টিং অপারেশন করতে বলেন কেডি সিং। সেই কারণেই তাঁকে টাকা দিয়েছিলেন কেডি। সেই তথ্য প্রথমে অস্বীকার করেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। কিন্তু স্টিং অপারেশন সংক্রান্ত একটি মেসেজ গোয়েন্দারা দেখানোর পর মুখে কুলুপ আঁটেন কেডি। তদন্তে উঠে এসেছে, শুধু অভিষেকই নন, প্রত্যেকের উপরই স্টিং অপারেশন হয়েছে কেডি সিংয়ের নির্দেশেই। এমনটাই দাবি ম্যাথু স্যামুয়েলের।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.