গৌতম ব্রহ্ম: সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের খবরের জের। করোনা মোকাবিলায় বাঙ্গুর হাসপাতালে তৈরি হল নয়া আইসোলেশন ওয়ার্ড। পনেরো শয্যার ওই আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকছে ভেন্টিলেটর-সহ অন্যান্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। করোনা আক্রান্ত আমলার ছেলের অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা থেকে শিক্ষা নিয়ে এই ওয়ার্ডে ভরতি হতে আসা রোগীদের জন্য সম্পূর্ণ পৃথক বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
সদ্যই রাজ্যের উচ্চপদস্থ আমলার ছেলের শরীরে মিলেছে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ। বেলেঘাটা আইডিতে ভরতি হওয়ার আগে বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ায় বিপদের সম্ভাবনাও এড়ানো যাচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কথা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিল সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। তারপরই নড়েচড়ে বসল বাঙ্গুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। করোনা মোকাবিলায় ওই হাসপাতালে নতুন সুপার স্পেশ্যালিটি বিল্ডিংয়ের নিচতলায় আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হল। ওই ওয়ার্ডে থাকছে ভেন্টিলেটর-সহ অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। পনেরোর মধ্যে আটটি পুরুষ এবং বাকি সাতটি শয্যা মহিলাদের।
নবনির্মিত এই আইসোলেশন ওয়ার্ডের সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। তাই হাসপাতালের মধ্যে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো করেই তৈরি করা হয়েছে আইসোলেশনে ওয়ার্ডটিকে। এই ওয়ার্ডে ঢোকার জন্য পৃথক দরজা ব্যবহার করা হবে। এমনকী যে করিডর দিয়ে করোনা সন্দেহভাজন রোগীরা আইসোলেশন ওয়ার্ডে যাবেন সেটিও হাসপাতাল থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। যে সমস্ত সন্দেহভাজনদের ইউএসজি, এক্স রে করতে পাঠানো হবে, তাঁদের জন্য থাকবে আলাদা লিফটের বন্দোবস্ত। থাকছে আলাদা পালস অক্সিমিটারও।
অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে একই শৌচাগারও ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না করোনা সন্দেহভাজনদের। ইতিমধ্যেই করোনা মোকাবিলায় বাঙ্গুর হাসপাতালে তৈরি আইসোলেশন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন। সঙ্গে ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং বাঙ্গুর হাসপাতালের সুপার শিশির নস্কর। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, “এমন অত্যাধুনিক আইসোলেশন ওয়ার্ড বাংলাতে আর কোথাও নেই। ভারতেও রয়েছে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।”
আপাতত করোনা সংক্রমণে ভরতি হওয়া রোগীদের পুরনো আইসোলেশন ওয়ার্ডেই ভরতি নেওয়া হচ্ছে। ঠিক যেমন কেরল ফেরত দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির ছ’জন বাসিন্দা এই হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন। তবে জানা গিয়েছে, নতুন ওই আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু হওয়ার পর দ্রুতই তাঁদের নয়া ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.