Advertisement
Advertisement
চোর ধরাল সিসিটিভি

টাকাভরতি ব্যাগ নিয়ে চম্পট, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি

কলকাতার একাধিক থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।

Bangladeshi man arrested for thefting lakhs of rupees by taking help of CCTV
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 24, 2019 6:34 pm
  • Updated:November 24, 2019 6:34 pm  

অর্ণব আইচ: ব্যস্ত সময়ে, লোকজনের নজর এড়িয়ে বিভিন্ন দোকান থেকে টাকাভরতি ব্যাগ নিয়ে মুহূর্তের মধ্যে চম্পট। এভাবেই কলকাতার বিভিন্ন জনবহুল বাজার থেকে হাতসাফাই চলছিল মাসের পর মাস। কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়ে গেল চোর। রবিবার এসব কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে বউবাজার এলাকা থেকে এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সোমবার তাকে আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ধৃত ব্যক্তির নাম সেলিম মহম্মদ। বয়স ৪৬ বছর। সে ঢাকার নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন দোকান থেকে টাকাভরতি ব্যাগ হাতানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বউবাজার থানা, নিউ মার্কেট থানা এবং হেয়ার স্ট্রিট থানায় আলাদা আলাদা অভিযোগ দায়ের হয়। লক্ষ লক্ষ টাকা এভাবেই চুরি করে নিয়েছে সে। পুলিশ সূত্রে খবর, চুরির জন্য অভিনব পন্থা অবলম্বন করত সেলিম। দোকানগুলি বন্ধের সময়ে সে নজর রেখেছিল। এরপর দোকান বন্ধ করার সময় যখন দোকানিরা টাকার ব্যাগ নিয়ে বাইরে রেখে শাটারে তালা দেওয়ার কাজটি করতেন, তখনই সুযোগ বুঝে সেই ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিত সালিম। বদলে রেখে যেত একইরকম দেখতে ফাঁকা ব্যাগ।

[আরও পড়ুন: মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত, হাসপাতালেই জন্মদিন পালন ক্যানসার আক্রান্ত খুদের]

এর আগে হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকায় একটি অপরাধের জন্য অভিযোগ ছিল সেলিমের বিরুদ্ধে। এরপর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করে থানাগুলি। সেই ফুটেজ দেখতে গিয়েই সেলিমের চেহারা ধরা পড়ে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যায়, চুরির পিছনে রয়েছে একজনই। সেলিম মহম্মদ। তার খোঁজে নামে পুলিশ। হগ মার্কেটের সামনে থেকে ধরা পড়ে সে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকমাস ধরেই এভাবে চুরি করছিল সালিম। মধ্য কলকাতার একটি হোটেলে আশ্রয় নিয়ে এই কুকীর্তি চালাত। অন্তত কয়েক লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার কাছ থেকে। গোটা অপারেশন সে একাই করত বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। সোমবার ব্যাংকশাল আদালতে পেশ করা হবে তাকে। পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জানার চেষ্টা করবে, এর পিছনে অন্য কোনও চক্র রয়েছে কি না। চুরি করা মোটা অঙ্কের টাকা বাংলাদেশে পাচার হতো কি না, কী কাজে লাগানো হত – এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তদন্তকারীরা।

[আরও পড়ুন: বারবার দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা, বিপর্যয় মোকাবিলায় মহড়া মেট্রোর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement