প্রতীকী ছবি।
অর্ণব আইচ: কলকাতায় শিশু পাচারে উঠে এল বাংলাদেশের নাম। কলকাতা থেকে একাধিক শিশু বাংলাদেশে পাচার হয়েছে বলে খবর এসেছে পুলিশের কাছে। এই বিষয়ে আনন্দপুর থানার পুলিশ নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে। বেআইনিভাবে সারোগেটেড মা তৈরি ও বিদেশে শিশু পাচারের ক্ষেত্রে কোনও চিকিৎসকের যোগাযোগ রয়েছে কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। এই সপ্তাহেই দুই চিকিৎসককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, শিশু পাচারের অভিযোগে ধৃত চক্রের মথা স্বপ্না সর্দার, মমতা পাত্রদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, একটি আইভিএফ সেন্টারের মাধ্যমেই বাংলাদেশে শিশু পাচার হয়েছে। পুলিশের কাছে আসা খবর অনুযায়ী, এক বাংলাদেশি দম্পতি চিকিৎসার জন্য আইভিএফ সেন্টারে যোগাযোগ করেন। তখনই তাঁরা ওই পাচার চক্রের নজরে আসেন। কলকাতায় তাঁদের দশ মাস রেখে চড়া দামে একটি শিশু বিক্রি করা হয়। যখন ওই শিশুটির জন্ম হয়, তখন হাসপাতালের শংসাপত্রে তার মা ও বাবার নাম ভিন্ন ছিল।জাল বার্থ সার্টিফিকেট ও অন্যান্য ভুয়ো নথি তৈরি করে শিশু পাচার চক্রের মাথারা। সেই ভুয়ো নথির সাহায্যে সহজে শিশুটিকে কিনে বাংলাদেশে নিয়ে চলে যান দম্পতি। এভাবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় একাধিক শিশু বিক্রি করা হয়েছে, এমন সম্ভাবনা পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না।
পুলিশের মতে, দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে জটিল প্রক্রিয়া ও অভিভাবকদের সংখ্যা এতটাই বেশি যে, সহজ পদ্ধতিতে অনেক দম্পতিই শিশু কিনে নিচ্ছেন পাচারচক্রের কাছ থেকে। শিশুগুলির ভুয়া শংসাপত্র ও নথি যারা তৈরি করছে, তাদেরও সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.