সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হিংসার (Bangladesh Violence) ধারাবাহিক ঘটনা এই মুহূর্তে অন্যতম আলোচ্য বিষয়। আন্তর্জাতিক মহলেও এ নিয়ে জোর চর্চা চলছে। রাষ্ট্রসংঘ সে দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে। আমেরিকাও হিন্দু মন্দির, দুর্গামণ্ডপ ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি জারি করেছে। রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। এবার তারই প্রতিফলন দেখা গেল এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র (Jago Bangla) সম্পাদকীয়তে। সেখানে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম করে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তিনি নিষ্ক্রিয় কেন? এর নেপথ্যে কোন কোন রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে, সেসব নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ফলে এনিয়ে তরজা আরও বাড়ল।
‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ শীর্ষক অতিসংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনটিতে ছত্রে ছত্রে নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সেখানে লেখা – ”আমরা বিস্মিত, ভারতের যে প্রধানমন্ত্রী ভোট টানার অঙ্কে বাংলাদেশে পুজো দিতে গিয়ে প্রচার সারলেন, তিনি প্রথম থেকে নিষ্ক্রিয় কেন? নাকি বাংলাদেশের হিন্দুনিগ্রহ দেখাতে পারলেন, সেই সুড়সুড়ি দিয়ে এই বাংলায় হিন্দু-আবেগ উসকে ভোট করার চেষ্টা? বাংলাদেশের ঘটনায় যথাযথ তদন্ত চাই।” শুধু এখানেই নয়, মোদির (PM Narendra Modi)পাশাপাশি এই ইস্যুতে বিজেপির ভূমিকা নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূলের (TMC) মুখপত্র। প্রথম পাতায় ‘শকুনের রাজনীতি বিজেপি’র শিরোনামে বিদ্ধ করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।
এ নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অত্যন্ত কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। ‘জাগো বাংলা’র সমালোচনাকে জোরদার সমর্থনের সুরে তিনি বলেন, ”বাংলাদেশের হিংসা নিয়ে বিজেপি কোনও রাজনৈতিক চাল দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। নাহলে কেন শুভেন্দু বলবেন, বাংলাদেশের ঘটনার পর আমাদের ভোট বাড়বে? আমরা জিতব সামনের ভোটগুলোয়? তাহলে তো স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, সমীকরণ ঠিক কী?” কুণালের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর মত, ”নরেন্দ্র মোদি কোথায় কেন পুজো দিতে গিয়েছিলেন, সেসব জানার মতো, বোধগম্য করার মতো শিক্ষা তৃণমূলের কারও নেই। তাই এসব কথার কোনও ভিত্তি নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.