Advertisement
Advertisement
Rice mill

রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বাকিবুরকে চালের বরাত দেওয়া বন্ধ, আদালতে কী জানাল রাজ্য?

আগামী সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি।

Bakibur's rice mill was stopped getting tender, what actually state told before court
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:July 31, 2024 10:07 am
  • Updated:July 31, 2024 10:38 am  

গোবিন্দ রায়: রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বাকিবুর রহমানকে রাজ্য চালের বরাত দেওয়া বন্ধ করতেই আদালতের দ্বারস্থ তাঁর ভাই। কিন্তু যার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে। যাঁকে ইডি গ্রেপ্তার করেছে, তাঁর সংস্থাকে কীভাবে বরাত দেওয়া সম্ভব? শুনানিতে এই প্রশ্নই তুলল রাজ্য। আগামী সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি।

সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেপ্তার হন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) ঘনিষ্ঠ উত্তর ২৪ পরগনার ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। গ্রেপ্তারির পরই তাঁর কোম্পানিকে চালের বরাত দেওয়া বন্ধ করে দেয় রাজ্য। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বাকিবুরের ভাই সইদুল রহমান ও এনপিজি রাইস মিল। সেই মামলা শুনানিতে চালের বরাত না দেওয়ার পিছনে রাজ্যের যুক্তি, “কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি জানিয়েছে বাকিবুরের অন্তত ১০০ কোটির সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। নামে, বেনামে, এবং আত্মীয়দের নামে অন্তত ৯০ টিরও বেশি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। অন্তত ৬ টি সংস্থায় শেয়ার রয়েছে বাকিবুরের। সেই শেয়ার মিলিয়েই বাকিবুরের সম্পত্তি প্রায় ৫০ কোটির বেশি বলে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা। নিউ টাউন, রাজারহাট, পার্কস্ট্রিটে একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে তার। এই বাকিবুরই রেশন দুর্নীতি মামলার অন্যতম মাথা বলছে ইডি। একাধিক হোটেল, পানশালা এবং বিদেশেও তার সম্পত্তি রয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। মামলা বিচারাধীন হলেও এসব তথ্য জানার পরেও যদি বাকিবুর ও তাঁর সংস্থাকে চালের বরাত দেওয়া হয় তাহলে রাজ্যের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত বাড়ছে মেট্রো পরিষেবা, যাত্রীদের জন্য সুখবর]

তবে মামলাকারী ও রাইস মিলের বক্তব্য, “ওই রাইস মিলের একাধিক ডিরেক্টর রয়েছে। তাঁদের কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও সে শুধু কোম্পানির একজন ডিরেক্টর। যাঁরা কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও কোনও অভিযোগ নেই।” মামলায় দাবি, “নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আইন অনুযায়ী যদি তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না থাকে, তাহলে কেন বরাত দেওয়া হবে না?” এদিন সব পক্ষের বক্তব্য শুনে রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

[আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতা-সহ ১০ জায়গায় তল্লাশি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement