অর্ণব আইচ: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় চার্জশিটে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উল্লেখ ইডির। তদন্তকারীদের দাবি, ধান বিক্রির নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন ধৃত বাকিবুর রহমান। ওই টাকা দুই স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে সরিয়েও রেখেছিলেন তিনি।
চার্জশিটে উল্লেখ করা ইডির দাবি অনুযায়ী, ধান বিক্রির নামে তোলা সরকারি টাকা দুই স্ত্রী অনামিকা বিশ্বাস ও হালিমা বেগমের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে রেখেছিলেন বাকিবুর (Bakibur Rahaman)। অনামিকা বিশ্বাসের নামে থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে তিনি ৪ কোটিরও বেশি টাকা রেখেছিলেন। তবে এই বিপুল টাকার উৎস কী, সে বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি অনামিকা। ইডির দাবি, গত ১১ অক্টোবর জেরা করা হয় অনামিকাকে। বয়ান রেকর্ডের সময় তিনি সম্পত্তির বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।
শুধু অনামিকা নন, তাঁর ভাই অভিষেক বিশ্বাস অর্থাৎ বাকিবুরের শ্যালকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে ‘কালো’ টাকা। চার্জশিটে ইডির দাবি, ধান বিক্রি বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে ৪ কোটি টাকার বেশি ঢুকেছিল তাঁর অ্যাকাউন্টে। অভিষেকের গত ১২ অক্টোবরের বয়ান অনুযায়ী, তাঁর কোনও চাষের জমি নেই। তিনি কোনওদিন ধান বিক্রি করেননি। তাঁর অ্যাকাউন্টের পুরো নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাই ছিল বাকিবুরের হাতে।
এখানেই শেষ নয়। ইডির চার্জশিটে আয়কর দপ্তরের তরফে চলা অভিযানের কথাও উল্লেখ করা হয়। বাকিবুরের বিরুদ্ধে সরকারি তহবিল তছরুপের অভিযোগও উঠেছে। আয়কর দপ্তর বাকিবুরের এনপিজি রাইস মিলে হানা দিয়ে বেশ কিছু তথ্য বাজেয়াপ্ত করে। তার মধ্যে একটি সরকারি সংস্থা থেকে ধান বিক্রি বাবদ হিসাবের মেমো পাওয়া যায়। তাতে দশজনের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার প্রমাণ রয়েছে। এই দশজনের মধ্যেই রয়েছে হালিমা বেগম ও সোহেল রহমানের নাম। যারা বাকিবুরের স্ত্রী ও ছেলে। গত ২৩ অক্টোবর ইডির জেরায় বাকিবুর নিজে তাঁদের পরিচয় স্পষ্ট করেন বলেই চার্জশিটে দাবি ইডির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.