মলয় কুণ্ডু: মিল্লি আল আমিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চলতি মাসের শুরুতেই তিনি এই পদ থেকে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন। সেইমতো শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ই-মেল মারফত ইস্তফাপত্র পাঠিয়েও দেন তিনি। যদিও তা তখন গ্রহণ করার কোনও প্রাপ্তিস্বীকার করা হয়নি।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ডিডিও পদে নতুন নিয়োগ করা হয়েছে। যদিও বৈশাখীদেবীকে তাঁর ইস্তফা গ্রহণের বিষয়ে এদিনও কিছু জানানো হয়নি বলে তাঁর দাবি। তবে নয়া নিয়োগের চিঠিতে বলা হয়েছে যে, বৈশাখীদেবীর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় দু’বছর ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সমস্যা মেটানোর জন্য শিক্ষামন্ত্রী বারবার আশ্বস্তও করেছেন। এবার বৈশাখীদেবী ইস্তফাপত্র দেওয়ার পরও মৌখিকভাবে পার্থবাবু জানান, বৈশাখীদেবীর ইস্তফা গ্রহণ করা হল না। কিন্তু পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শিক্ষা দপ্তরের এই পদক্ষেপ থেকে এটা স্পষ্ট যে, বৈশাখীদেবীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বৈশাখীদেবীর প্রতিক্রিয়া, “আমি তো স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিতেই চেয়েছিলাম। গত ১৫ বছর একটা জায়গায় কাজ করার পর যদি আমাকে জানানো হত যে, তোমার ইস্তফা গ্রহণ করা হল, কিন্তু এটুকু ডিসেন্সিও দেখানো হল না। আমার মনে হয় শিক্ষা দপ্তরের আর আমাকে কোনওভাবে শাস্তি দেওয়ার বাকি রইল না। তবে এখন আমি মুক্ত।”
এর আগে গত মার্চ মাসে ওয়েবকুপার সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হয়েছিল বৈশাখীদেবীকে। প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ইস্তফার পরই গুরুদাস কলেজে উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধি হিসাবে থাকা বৈশাখীদেবী সরিয়ে দেওয়া হয়। বৈশাখীদেবীর দাবি, কোনওবারই সরাসরি তাঁকে বিষয়টি জানানো হয়নি। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। তাঁর কথায়, “প্রতিবারই অন্য কারও কাছ থেকে বিষয়টি শুনতে হয়েছে। এবারও তা-ই হল। সরাসরি জানানোর সামান্য সৌজন্যটুকুও না দেখানো আমাকে সত্যিই যন্ত্রণা দিয়েছে।”
বিষয়টি কি আপনি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জানাবেন? প্রশ্নের উত্তরে বৈশাখীদেবী বলেন, “ওঁর সম্মতি ছাড়া এই প্রক্রিয়া সম্ভব নয়। তবে আমাকে অবাক করেছে বিশাখা গাইডলাইনের এত বড় উল্লঙ্ঘন। যাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে, তাঁকে একটি মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সেক্রেটারি বানিয়ে দিয়ে আমাকে সরানো হল, আমি চাকরির শেষেও এর বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ রাখছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.