অর্ণব আইচ: ধাক্কা খেয়ে ভিড়ের মধ্যে রাস্তায় মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁকে সাহায্য করার নাম করে ব্যাগশুদ্ধ দশ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও দুষ্কৃতীরা। সম্প্রতি এই কেপমারির ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দুষ্কৃতীদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টায় তাদের ‘পোর্ট্রেট পার্লে’ করানো হয়েছে।
[অনলাইনে বিপত্তি, মোবাইলের বদলে হাতে এল ভাঙা পাওয়ার ব্যাংক]
পুলিশ জানিয়েছে, মধ্য কলকাতার ক্যানিং স্ট্রিটে ঘটেছে এই ঘটনাটি। হাওড়ার বাসিন্দা ভবেশ উপাধ্যায় হাঁটছিলেন ক্যানিং স্ট্রিট ধরে। কাছেই অগ্নিদগ্ধ বাগরি মার্কেট। প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে চলছিল ধাক্কাধাক্কি। ওই ব্যক্তির ব্যাগের মধ্যে ছিল দশ লক্ষ টাকা। ব্যাগটি আঁকড়েই ছিলেন তিনি। হঠাৎই ভিড়ের মধ্যে কেউ তাঁকে পিছন থেকে জোরে ধাক্কা দেয়। তিনি পড়ে যান। এক ব্যক্তি তাঁকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে। তাঁকে তোলে। অন্য এক ব্যক্তি সাহায্য করার নাম করেই তাঁর হাত থেকে ব্যাগটি নিজের হাতে নেয়। তিনি হাত-পায়ের ধুলো ঝেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে ব্যাগটি নিতে যান। তখনই বুঝতে পারেন, যে ব্যক্তি তাঁর ব্যাগটি হাতে নিয়েছিল, সে দশ লক্ষ টাকার ব্যাগ-সহ উধাও হয়ে গিয়েছে।
এই বিষয়ে তিনি হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের ধারণা, দুষ্কৃতীরা খবরাখবর নিয়েই ওই ব্যক্তির পিছু নিয়েছিল। ক্যানিং স্ট্রিটে ভিড়ের মধ্যে তারা কাজ হাসিল করে। কলকাতার বাইরের অথবা ভিন রাজ্যের কোনও গ্যাং এই কেপমারির সঙ্গে জড়িত, এমন সম্ভাবনা পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। কারণ পুজো থেকে শুরু করে দীপাবলি পর্যন্ত বড়বাজার ও তার আশপাশের এলাকা ‘টার্গেট’ হয়ে ওঠে কেপমারদের। এই গ্যাংয়ে তিনজন বা তার বেশি দুষ্কৃতীরা ছিল বলে ধারণা পুলিশের। তাদের চেহারার বিবরণ দিয়ে ‘পোর্ট্রেট পার্লে’ আঁকা হয়েছে। তার মাধ্যমে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। কেপমারদের রুখতে লালবাজারের গোয়েন্দারাও ভিড়ের মধ্যে মিশে নজরদারি শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[হোয়াটসঅ্যাপেই রমরমিয়ে মধুচক্রের কারবার চলছে বাঁকুড়ায়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.