সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ‘সেন্সর’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। লাগাতার আলটপকা মন্তব্য দলকে অস্বস্তিতে ফেলছে এই অজুহাত দিয়ে জেপি নাড্ডারা একপ্রকার ফতোয়া দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) আর সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে পারবেন না। আসলে দিলীপবাবু রাজ্য সভাপতির পদ খোয়ানোর পর থেকে যেভাবে দলের বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বকে নিশানা করছিলেন, তাতে বেশ ভালমতোই অসন্তুষ্ট ছিলেন সুকান্ত মজুমদাররা। সূত্রের খবর, সুকান্তদের নালিশেই নাড্ডা (JP Nadda) দিলীপকে সেন্সর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পরশুদিনই লিখেছিলাম যে শ্রী @DilipGhoshBJP ‘Verbal Diarrhoea-র রুগী•তাঁর কোনো লজ্জা নাই, চিকিৎসাও নাই• বেশ চলছিল রোজ ভোরবেলা
‘বাণীর-প্রাতঃকৃত্য – সারাদিন মানুষ তাতে দুদণ্ড হাসির খোরাক পেতো•চিঠি দিয়ে ‘রগড়ে’ দিয়ে সেটাও বন্ধ করে দিল•অবশ্য এমনিতেও আন্দামানে পাচার-order হয়েছিল pic.twitter.com/ZmdWwzBM7y— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) May 31, 2022
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দিলীপকে ‘সেন্সর’ করার এই চিঠি আসলে বঙ্গ বিজেপির (BJP) গোষ্ঠীকোন্দলের করুণ ছবিটা প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে। যদিও দিলীপবাবু নিজে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনও চিঠি তাঁর হাতে পৌঁছায়নি। চিঠি হাতে পেলে তার জবাব দেবেন। বিজেপির তরফে এ নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। শমীক ভট্টাচার্য শুধু বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, বঙ্গ বিজেপিতে ‘অল ইজ ওয়েল’। দিলীপবাবু দলের অনুগত সৈনিক এবং সফলতম রাজ্য সভাপতি।
দিলীপবাবুকে সেন্সর করা নিয়ে তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) অবশ্য রীতিমতো আক্রমণাত্মক। তিনি যে দিলীপ ঘোষের সেন্সরে বেশ উৎফুল্ল, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন টুইট করে। বাবুলের বক্তব্য,”আগেই লিখেছি দিলীপ ঘোষ ভার্বাল ডায়েরিয়ার রোগী। তাঁর কোনো লজ্জা নাই, চিকিৎসাও নাই। বেশ চলছিল রোজ ভোরবেলা বাণীর-প্রাতঃকৃত্য। সারাদিন মানুষ তাতে দু’দণ্ড হাসির খোরাক পেতো। চিঠি দিয়ে ‘রগড়ে’ দিয়ে সেটাও বন্ধ করে দিল।” বিজেপিরই এক বিক্ষুব্ধ নেতা তথাগত রায়ও দিলীপের মুখে লাগাম পরানোয় বেশ খুশি। তাঁর বক্তব্য, “গরিবের কথা বাসি হলে মনে পড়ে। আমি আগেই বলেছিলাম ওর কথাবার্তা দলের বহু ক্ষতি করছে। যাই হোক, যা হল ভালই হল।”
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) অবশ্য দিলীপবাবুকে সমবেদনাই জানিয়েছেন। কুণালের বক্তব্য, “দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আমাদের মতপার্থক্য ছিল, আছে এবং থাকবে। কিন্তু এভাবে দলবদলুরা গিয়ে দিলীপদার মতো পুরনো লোককে কোণঠাসা করে দেবে সেটা হয় নাকি কখনও। কখনও বাংলা থেকে বের করে নেওয়ার চেষ্টা করবে। কখনও দিল্লি থেকে ঠিক করে দেবে, কে কী বলবে সেটা হবে নাকি। আমি দিলীপদাকে বলব, এই নির্দেশিকা মানবেন না। বিরোধিতা করুন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.