রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিক্রম রায়: রথযাত্রা থিম সং গাইবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। ‘উড়িয়ে ধ্বজা অভ্রভেদী রথে……।’ কবিগুরুর এই গান বাবুলের কণ্ঠে শোনা যাবে রথের যাত্রাপথে। দু-একদিনের মধ্যেই গানটি রেকর্ডিংয়ের জন্য কলকাতায় আসছেন আসানসোলের সাংসদ। থিম সং থেকে শুরু করে রথযাত্রার সমস্ত প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে বলে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন।
[জঙ্গলমহলে শাসকদলের দুই নেতাকে গুলি, অভিযোগের তির বিজেপির দিকে]
আসন্ন রথযাত্রা অভিযানে রবীন্দ্রনাথকে হাতিয়ার করেই বাঙালি আবেগকে কবজা করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। রবি ঠাকুরের পূজা পর্যায়ের অতি চেনা ‘উড়িয়ে ধ্বজা অভ্রভেদী রথে, ওই-যে তিনি ওই-যে বাহির পথে..’গানটি চলমান রথের সঙ্গেই বাজতে থাকবে, সঙ্গে পর্দায় চলবে ভিডিও। বঙ্গে দলের রথযাত্রা থিম সং বাবুল সুপ্রিয়ই গান, এমনটা চান দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও। এছাড়াও, রথযাত্রা চলাকালীন দেখানো হবে বিভিন্ন তথ্যচিত্র। সেই তথ্যচিত্র তৈরি হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। আবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও সাফল্যও তুলে ধরা হবে তথ্যচিত্রের মাধ্যমে। জানালেন রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতা। বাংলার আরও কিছু শিল্পীকে দিয়ে গান গাওয়ানো হবে। এছাড়া, যেদিন রথযাত্রা শুরু হবে সেদিন দলের মহিলা কর্মীরা প্রত্যেকে বাড়িতে শাঁখ বাজাবেন। সেই শঙ্খধ্বনির মধ্যে দিয়েই রথের চাকা গড়াতে শুরু করবে।
[ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুর সাহায্যে এগিয়ে এলেন সাংসদ অর্পিতা]
এদিকে, মাঠ না মেলায় কোচবিহারে ধানজমিতেই সভা হবে অমিত শাহর। কোচবিহার শহর থেকে কিছুটা দুরে নাটাবাড়ির ঝিনাইডাঙায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ধানজমিটি বাছা হয়েছে শাহর সভার জন্য। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ শনিবার জানিয়েছেন, “জাতীয় সড়কের ধারে ব্যক্তিগত জমিতে সভাটি হবে। ওখানে প্রায় ৫০ হাজার লোক ধরে যাবে।” নাটাবাড়ির ওই জমিটি বিজেপিরই প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য চিনু কুণ্ডুর। ৭ ডিসেম্বর কোচবিহার থেকে প্রথম রথযাত্রার সূচনা করছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। কোচবিহার শহরে সভার জন্য একাধিক মাঠ বেছেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। যার মধ্যে রাসমেলার মাঠ দেওয়া যাবে না বলে প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, ওই সময় সেখানে রাসমেলা চলবে। এছাড়াও চকচকা, কোচবিহার স্টেডিয়াম, বাবুরহাটেও মাঠ দেখেছিল বিজেপি। সেখানে শীতকালীন স্পোর্টস চলছে। ফলে কোনও রাজনৈতিক দলের সভার জন্য মাঠ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এছাড়া, রাজবাড়ির পিছনের আর একটি মাঠেরও অনুমতি পাওয়া যায়নি। আবার নিউ কোচবিহার রেল ময়দানের অনুমতি পাওয়া গেলেও মাঠটি ছোট হওয়ায় তা বাতিল করে দেন বিজেপি নেতারাই। শনিবার নাটাবাড়ির ওই জমিটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাহা, জেলার পর্যবেক্ষক শ্যামচাঁদ ঘোষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.