প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, “বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সেই সুযোগ দিলেন। মন থেকে রাজনীতি ছেড়েছিলাম। হঠাৎ একটা সুযোগ পেলাম। সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।
কীভাবে বদলাল চিত্র? বাবুলের কথায়, “গত ৪ দিনে সিদ্ধান্ত বদল করেছি। মেয়েকে একটা স্কুলে ভরতি করা নিয়ে ডেরেকের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখনই তিনি এই অফার দেন।”
২০১৯ সালে বড় ব্যবধানে জয়ের পরও পূর্ণমন্ত্রিত্ব না পাওয়া নিয়েও এদিন উষ্মা প্রকাশ করেন বাবুল। তাঁর কথায়, “২০১৯ সালে পূর্ণ মন্ত্রিত্ব না পাওয়ায় পরিবার, বন্ধুরা আশ্চর্য হয়েছিল। এক দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর কী ক্ষমতা সেটা বোধহয় সকলে জানেন। আমি আর নতুন করে কিছু বলতে চাই না।”
তাহলে কি সেই ক্ষোভ থেকেই দলববদল? পুরনো দলের প্রতি প্রতিশোধ নিতেই কি তৃণমূলে এলেন বাবুল। সেই জল্পনা উড়িয়ে দিলেন তিনি। আসানসোলের সাংসদের কথায়, “প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা ভাববেন না। মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি।”
Advertisement
It gives us immense joy to welcome the former Union Minister and sitting MP from Asansol, @SuPriyoBabul, into the Trinamool family.
এদিন বাবুল আরও বলেন, “বাংলার জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম। গত ৭ বছর ধরে পরিশ্রম করেছিলাম। সেই কাজের রাস্তা হঠাৎই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কেন বন্ধ হয়েছিল জানি না।”
রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে মনে করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, “সকলে বলেছিলেন আমার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। বাংলার মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা দায়িত্ব দেবেন, তাই করব।”
সাংসদ পদ ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন বাবুল। তাঁর কথায়, “তৃণমূলে যখন যোগ দিয়েছি, তখন আসানসোল সাংসদ পদ থেকে সরে দাঁড়াব। কারণ বিজেপির টিকিটে জিতেছিলাম আমি।”
ভবানীপুরে কি তৃণমূলের হয়ে প্রচার করবেন বাবুল? প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, “আমার মনে হয় না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমার প্রচারের প্রয়োজন আছে। দিদির সঙ্গে কথা হয়েছে ফোনে। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করব।”
অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসনে কি রাজ্যসভায় যাবেন তিনি? বাবুল বললেন, ” এব্যাপারে আমি কিছু বলব না। দল যা দায়িত্ব দেবে, পালন করব।”
বিজেপি থেকে বাবুলকে সুযোগ সন্ধানী বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে। পালটা বাবুল বলেন, “আমি জানি আমাকে নিয়ে ট্রোল হবে। ট্রেন্ডিং করিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু আমার মনে যা ট্রেন্ড হওয়ার হয়ে গিয়েছে।”