রমেন দাস: রাতদুপুরে রাস্তার উপরই দুই যুযুধান শিবিরের দুই জনপ্রতিনিধির বাকযুদ্ধের ঘটনা এ রাজ্যে কার্যত নজিরবিহীন। বছরের প্রথম সপ্তাহান্তে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর যেভাবে রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তর্কবিতর্কে জড়ালেন, তা নিয়ে নানাস্তরে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এসবের নেপথ্যে অবশ্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘অসভ্যতা’কে দায়ী করলেন বাবুল সুপ্রিয়। ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’কে ফোনে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল বিধায়কের স্পষ্ট অভিযোগ, ”উনি আমার মা-বাবা তুলে গালিগালাজ করেছেন। তাই পরিস্থিতি এতটা উত্তপ্ত হয়েছে।”
শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে আচমকাই বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাবুল সুপ্রিয়, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বাবুলের অভিযোগ, প্রচণ্ড গতিতে হুটার বাজাতে বাজাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিজিৎবাবুর গাড়ির গতি নিয়ে আপত্তি করেন বাবুল। অভিযোগ, তা শুনেই তাঁকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করে বসেন বিজেপি সাংসদ। ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’কে ফোনে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ”পরিস্থিতি এতটা উত্তপ্ত হতো না, যদি না তিনি আমার মা-বাবাকে তুলে গালিগালাজ করতেন। উনি একজন অসভ্য লোক। কথাবার্তা ঠিক নেই। আমি ওঁকে বলেছিলাম, চালক এত জোরে গাড়ি চালাচ্ছে, আপনি বারণ করছেন না কেন? এটা শুনেই উনি অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন।”
এর আগে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছিলেন, বাবুল মদ্যপ অবস্থায় যা-তা কথা বলেছেন। তা শুনে বাবুল রীতিমতো হেসেই বললেন, ”বাবুল সুপ্রিয় যে মদ ছোঁয় না, তা পৃথিবীর সকলে জানে। আমি মদ খাই না বলে একবার দেবের বাড়ির পার্টিতে বন্ধুরা আমাকে জোর করে খাইয়ে দিয়েছিল। সুতরাং এটা সবার জানা। আসলে কী বলুন তো? মানুষের ঔদ্ধত্য বেড়ে গেলে দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ওঁরও তাই হয়েছে। ঔদ্ধত্য একেবারে চরমে পৌঁছে গিয়েছেন। তাই এসব কথা বলছেন। ওঁর কথার জন্যই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তা নইলে হতো না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.