গৌতম ব্রহ্ম: অ্যালোপ্যাথির সঙ্গে সখ্যতা বাড়াতে এইমসগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছে আয়ুশ মন্ত্রক। উদ্দেশ্য একটাই, আয়ুশ গবেষণাকে ‘ইন্টিগ্রেটেড রিসার্চ অ্যাপ্রোচ’ হিসাবে তুলে ধরে সাধারণের কাছে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করে তোলা।
ইতিমধ্যে আইসিএমআর-এর ডিজি রাজীব বলের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছেন আয়ুশ সচিব রাজেশ কোটেচা। এবার এই আইসিএমআর-কে মাঝখানে রেখে আয়ুশ-অ্যালোপ্যাথি ইন্টিগ্রেটেড থেরাপি ও গবেষণার প্রোটোকল চূড়ান্ত করার পথে এগোল আয়ুশ মন্ত্রক। এমনটাই জানালেন সিসিআরএএসের ডিজি ডা. রবিনারায়ণ আচার্য।
শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ন্যাচারাল প্রোডাক্ট স্টাডিজের একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখেন রবিনারায়ণ। সেখানেই তিনি ‘সংবাদ প্রতিদিন’-কে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, আয়ুর্বেদ গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আইআইটি ও এইমসগুলির সঙ্গে একাধিক গবেষণা চালাচ্ছে সিসিআরএএস। অটোমেটেড বস্তি যন্ত্র, ক্ষারসূত্র মেশিন তৈরি করছে দিল্লি আইআইটি। পারদভস্ম তৈরির প্রক্রিয়াকে আরও আধুনিক করতেও সাহায্য করছে। দিল্লি, হৃষিকেশ, ভুবনেশ্বর, ভোপাল এইমসের সঙ্গে একাধিক গবেষণা চলছে। বেঙ্গালুরুর নিমহনসের সঙ্গেও মানসিক রোগের উপশমে আয়ুশকে কাজে লাগানোর জন্য দু’টি প্রকল্প শেষ হয়েছে। আরও দু’টি প্রকল্প চলছে।
মোদ্দা কথা, প্রাচীনত্বের দোহাই দিয়ে আয়ুর্বেদ, যোগ, সিদ্ধাকে আর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হিসাবে দেখা যাবে না। বরং অ্যালোপ্যাথি বা মডার্ন মেডিসিনের দোসর হিসাবেই দেখতে হবে। রবিনারায়ণ জানালেন, ইতিমধ্যেই দিল্লি এইমসে ইন্টিগ্রেটেড থেরাপি দেওয়ার জন্য আলাদা সেন্টার তৈরি হয়েছে। বাকি এইমসগুলিতেও এমন সেন্টার তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। যেখানে চিকিৎসা এবং গবেষণা দু’টোই হাত ধরাধরি করে চলবে।
ছুঁৎমার্গ এড়িয়ে মডার্ন মেডিসিনের ডাক্তারবাবুরা আপন করে নেবে বৈদিক চিকিৎসা পদ্ধতি। যাতে প্রয়োজনে রোগীকে ইন্টিগ্রেটেড থেরাপি দেওয়া যায়। শীঘ্রই সমস্ত এইমস অধিকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসবে আইসিএমআর। উল্লেখ্য, দেশের আয়ুশ মন্ত্রক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রক একযোগে কাজ করতেই আইসিএমআর-কে মাঝে রেখে সম্প্রতি মউ স্বাক্ষর করেছে। যার অন্যতম উদ্দেশ্য, সঙ্কীর্ণতার উর্দ্ধে উঠে সমস্ত প্যাথিকে মিশিয়ে মিশ্র প্যাথিকে চিকিৎসা পরিষেবায় কাজে লাগানো। আদিবাসী এলাকাগুলিতে ব্যবহৃত প্রচলিত ওষুধগুলির কার্যকারিতা নিয়ে ‘সেন্টার ফর আয়ুর্বেদিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-র সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে এইমসগুলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.