গৌতম ব্রহ্ম: পুরনো বছরে প্রাপ্য নম্বরের ৮০ শতাংশ ও চলতি বছরের অভ্যন্তরীন মূল্যায়নে পাওয়া ২০ শতাংশ নম্বর। এই দু’টি যোগ করেই পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলপ্রকাশ হবে। এই মর্মেই ২৭ জুন নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য। এই ফর্মুলা মেনেই ‘ব্যাচেলর অফ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি’ (বিএএমএস)-এর ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রদেরও পাশ করানোর কথা। কিন্তু তা হয়নি। বরং পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নেওয়ার নোটিস জারি করছে। ফলে, তুমুল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে।
তাঁরা বুধবার আদালতের দ্বারস্থ হন। আগামী ৩ জুলাই কলকাতা হাই কোর্টে শুনানি। কাঁকিনাড়ার রাজীব গান্ধী মেমোরিয়াল আয়ুর্বেদিক মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা সুমিত নাগ জানিয়েছেন, কেন্দ্র ও রাজ্য দু’পক্ষই পরীক্ষা না নেওয়ার কথা বলেছে। তা সত্ত্বেও ছাত্রছাত্রীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রবণতা। সুমিতের বক্তব্য, এখানে ত্রিপুরা-সহ ভিন রাজ্যের বহু ছাত্রছাত্রী আয়ুর্বেদ পড়তে আসেন। তাঁদের পক্ষে এখন আসাই সম্ভব নয়। এলেও ভাড়া বাড়িতে ঢুকতে দেবে না।
পড়ুয়াদের যুক্তি, রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাহলে বিএএমএসের ক্ষেত্রে কেন আলাদা নিয়ম হবে? উল্লেখ্য, শীর্ষ আদালতের উপদেশ মেনে আইসিএসই, সিবিএসই, রাজ্য শিক্ষাদপ্তরও ‘হয়ে যাওয়া’ পরীক্ষায় প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে ফলপ্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.