ফাইল ফটো
গৌতম ব্রহ্ম: করোনা মোকাবিলায় আয়ুশ হাসপাতালগুলিকেও ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিল কেন্দ্র। সোমবারই দেশের সব আয়ুশ হাসপাতালকে চিঠি লিখে সেই কথাই জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় আয়ুশ সচিব রাজেশ কোটেচা।
এ রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ষোলোটি আয়ুশ হাসপাতাল রয়েছে। সরকারি হোমিওপ্যাথি হাসপাতাল চারটি, আয়ুর্বেদ হাসপাতাল তিনটি। বেসরকারি হোমিওপ্যাথি হাসপাতাল সাতটি, আয়ুর্বেদ হাসপাতাল রয়েছে দু’টি। একটি বেসরকারি উদ্যোগে চলা ইউনানি হাসপাতাল রয়েছে। সব হাসপাতালেরই অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছেন কোটেচা। কার কত শয্যা, কত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী তার তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হবে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের আয়ুশ হাসপাতালগুলি তালিকা তৈরি করতে শুরু করেছে। ‘ন্যাশনাল আয়ুর্বেদ স্টুডেন্টস অ্যান্ড ইউথ অ্যাসোসিয়েশন’ এই নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছে। তাঁদের মত, ‘‘আমরা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১৭ মার্চ এই মর্মে চিঠি লিখেছিলাম। করোনা মোকাবিলায় আয়ুশ হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো ব্যবহারের ব্যাপারে। কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হল, এটা ভাল ব্যাপার।” জানা গিয়েছে, রাজ্যের ষোলোটি আয়ুশ হাসপাতালে প্রায় ২ হাজার শয্যা রয়েছে। করোনা সংক্রমণ যেভাবে দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে, তাতে এই পরিকাঠামো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, ভাইরাস গবেষণায় আয়ুর্বেদের পাঁচ হাজার বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। করোনা-যুদ্ধে শামিল হলে আয়ুর্বেদ আরও অনেকটা এগিয়ে যাবে।
চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, আয়ুর্বেদের দৌলতেই চিন করোনা মহামারীকে তাড়াতাড়ি সামলাতে পেরেছে। দাবির পক্ষে চিকিৎসকরা একটি পেপারও জনসমক্ষে এনেছেন। যাতে দেখা যাচ্ছে, চিনে ৭০১ জন করোনা পজিটিভ রোগীকে একটি আয়ুর্বেদিক ক্বাথ খাওয়ানো হয়েছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়েছেন। ১৩০ জন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন। বাকিদের সংক্রমণের মাত্রাও অনেক কমেছে। গাছগুলির নাম চিনে ভাষায় উল্লিখিত। তবু তর্জমা করে যা জানা যাচ্ছে তা হল, যষ্টিমধু, দারচিনি, আদা, আমন্ড-সহ প্রায় বারো রকমের ভেষজ মিলিয়ে এই ক্বাথ বা সেমি লিকুইড তৈরি করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.