Advertisement
Advertisement

Breaking News

আনন্দলোকে জট কাটার ইঙ্গিত

জট কাটার ইঙ্গিত আনন্দলোক হাসপাতালে, প্রত্যাহার হতে পারে লক আউট নোটিস

সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের পরই ভাবনায় বদল কর্তৃপক্ষের।

Authority of Anandalok hospital may withdraw lock out notice
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 31, 2019 1:00 pm
  • Updated:December 31, 2019 1:00 pm  

কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: ভাগ্য বদলানোর ইঙ্গিত সল্টলেকের আনন্দলোক হাসপাতালে। সূত্রের খবর, সোমবার দেওয়া লকআউট নোটিস প্রত্যাহার করতে পারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর তা প্রত্যাহার করলেই নতুন বছর থেকে আনন্দলোক বন্ধ হওয়ার যে আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল, তা থেকে মুক্তি পাবেন রোগীরা। পাশাপাশি স্বস্তি মিলবে হাসপাতালের কর্মীদেরও। মঙ্গলবার বেলার দিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই দমবন্ধ করা পরিবেশ থেকে যেন খানিকটা স্বস্তির হাওয়া খেলল। নিশ্চিন্ত হলেন অনেকেই।

সোমবার আনন্দলোক হাসপাতালের গেটে লক আউট নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, কর্মচারী সংগঠনের দুই নেতৃত্বে বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বাড়তে থাকা লোকসান আর কর্মীদের একাংশের বিশৃঙ্খলার জন্যই শেষপর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তাঁরা আরও জানান, ১ জানুয়ারি থেকে কোনও কর্মীকে বেতন বা বকেয়া টাকা দেওয়া হবে না। যদিও কর্মচারীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মানবেন না। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বিপাকে পড়েন রোগীরা। আশেপাশের এলাকা ছাড়াও এমন পুরনো, নির্ভরযোগ্য একটি হাসপাতালে চিকিৎসা, অস্ত্রোপচারের জন্য আসেন দূরদূরান্তের রোগীরাও। তাঁরা এখন কোথায় যাবেন, কী করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বর্ষবরণের জন্য প্রস্তুত শীতের কলকাতা, চিড়িয়াখানা-ইকো পার্কে উপচে পড়া ভিড়]

ওদিকে, কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত মানবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন হাসপাতালের কর্মীরা। আনন্দলোক হাসপাতালের এই সমস্যার সমাধানে হস্তক্ষেপ করে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, ওয়েস্টবেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডক্টর নির্মল মাজির মাধ্যমে জট কাটাতে তৎপর হয় প্রশাসন। দুপুরের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং কর্মচারী সংগঠন বৈঠকে বসবে। সেখান থেকে দুই অভিযুক্ত নেতাকে বদলির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তরা বদলি হলে, হয়ত লক আউট নোটিস প্রত্যাহার করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেও বেনিয়মের অভিযোগে হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে আর্থিক সাহায্য পেয়ে হাসপাতাল ফের চালু করা হয়। হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডি কে শরাফ জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত দুই নেতৃত্বের মূল নেতাদের সরিয়ে দেওয়া হলে তাহলেই আমি আবার ধার করে এনে হলেও হাসপাতালের কর্মীদের মাইনে দিয়ে আবার পুনরুজ্জীবিত করে তুলব। কিন্তু ওই দুই নেতৃত্বরা থাকলে আমার পক্ষে এই হাসপাতাল চালানো সম্ভব হবে না।”

[আরও পড়ুন: প্ল্যান পাসের আগেই শুরু করা যাবে বাড়ি তৈরির কাজ, নয়া সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement