কৃষ্ণকুমার দাস: জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত বাঙালি জননেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সচিব হিসাবে বাংলার সঙ্গে তাঁর যে যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল আমৃত্যু তা অটুট ছিল প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর। বাঙালির খাবার, পোশাকই শুধু পছন্দ করতেন না, বাড়িতেও বাঙালিয়ানার মোড়ক ছিল ১০০ শতাংশ। বাঙালি রঞ্জন ভট্টাচার্যর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন পালিতা কন্যা নমিতার। কলকাতা থেকে কেউ দিল্লির বাড়িতে দেখা করতে এলে খবর নিতেন বাংলার দই ও আম এনেছেন কি না। ২০০০ সালের জুলাইয়ে সহকর্মী ও মন্ত্রিসভার সদস্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে টালির চালের ঘরে সটান হাজির হয়েছিলেন। শুধু প্রণাম নয়, মমতার মা গায়ত্রী দেবীর হাতে তৈরি নারকেল নাড়ু খেয়ে আবেগাপ্লুত বাজপেয়ী দিল্লিতেও নিয়ে গিয়েছিলেন।
কলকাতায় তাঁকে বরাবরই টানত। এখানে এলে তিনি উঠতেন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের বেরিওয়াল হাউসে। তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে ওই বাড়ির সমস্ত সদস্যদের মধ্যে। ১৯৬৮ সালে জনসংঘের সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত হন বাজপেয়ী। পরে লালকৃষ্ণ আডবানী, নানাজি দেশমুখ, বলরাজ মাধোকের সঙ্গে মিলে দলকে জাতীয় স্তরে টেনে তোলেন তাঁরাই। পরে ১৯৭৭ সালে নির্বাচনে জিতে জনতা পার্টি ক্ষমতায় এলে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের মন্ত্রিসভায় বিদেশমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বাজপেয়ী। ১৯৭৯ সালে জনতা পার্টির সরকার গদি হারালেও বাজপেয়ী ততদিনে একজন বড় নেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। ১৯৮০ সালে তিনিই বন্ধু ও সহকর্মী আডবানীর সঙ্গে ভারতীয় জনসংঘ থেকে তৈরি করেন ভারতীয় জনতা পার্টি। তিনিই বিজেপির প্রথম সর্বভারতীয় সভাপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.