স্টাফ রিপোর্টার: ‘আজকে আউটডোর’ বন্ধ’- সাদা আর্ট পেপারে কালো স্কেচপেনে পেনে লেখা জুনিয়র ডাক্তারদের পোস্টার। সঙ্গে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। তবে যে জুনিয়র ডাক্তারের মাথায় আঘাত করার ঘটনার জেরে রাজ্য জুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে, সেই পরিবহ মুখোপাধ্যায় আগের চেয়ে অনেকটাই ভাল আছেন। বুধবার দুপুরে মল্লিকবাজারের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, “বিপন্মুক্ত জুনিয়র চিকিৎসক। কথা বলছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। চিকিৎসায় দ্রুত উন্নতি ঘটছে মাথার আঘাতের অংশে। তবে, পর্যবেক্ষণের কারণে তাঁকে এখনও আইসিইউতে রাখা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: এনআরএস কাণ্ডে প্রায় পঙ্গু বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবা, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি অধীরের]
নীলরতনের ঘটনার জেরে প্রায় তিন দশক পর রাজ্যে চিকিৎসকদের মধ্যে এতটা প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। কলকাতার বহু নামী চিকিৎসক এদিন সকাল থেকে রোগী দেখেননি। অপারেশন থিয়েটারেও যাননি। আর খোদ আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের দাবিতে অনড় থেকেছেন। ধর্মঘটীদের প্রশ্ন করলে একটাই উত্তর মিলছে, “আমাদের আন্দোলনের পথে হাঁটতে বাধ্য করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত একজনও ডাক্তার নিগ্রহকারীর শাস্তি হয়েছে শুনেছেন? কতদিন মার খাব, বলতে পারেন।” আরেক ডাক্তার নেতা বলেছেন, “মাত্র তো তিনটি দাবি রাখা হয়েছে। প্রশাসন দাবিগুলো মেনে নিলেই তো হত। রোগীদের এই ভোগান্তির মুখে পড়তে হত না।”
[আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জের, শহরে বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন মহিলা]
অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে ‘ওপিডি’ বন্ধ। এনআরএস হাসপাতালের গেটে তালা লাগিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভ দেখানোর ছবি ধরা পড়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে রোগী এলে আমরা তাঁদের দ্রুত সুস্থ করে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাই। কিন্তু আমরাই যখন আক্রান্ত, তখন আমাদের কে দেখবে? চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছেন, চিকিৎসা পরিষেবার অভিযোগ এনে প্রায়ই রোগীর পরিবারের লোকজন হামলা চালাচ্ছে। এটা কেন হবে? চিকিৎসক বলে কি কোনও বাঁচার অধিকার নেই? এক হবু চিকিৎসক বলেন, “আমরা যখন রাতে ডিউটিতে আসি, বাড়ির লোক তখন জেগে থাকে। আতঙ্কে থাকে কোনও ঘটনা না ঘটে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.