সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর শহরে ফিরলেন শিলচর বিমানবন্দরে বন্দি অবস্থায় থাকা তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। শুক্রবার সকালে দমদম বিমানবন্দরে নেমেই অসম প্রশাসন ও বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন প্রতিনিধি দলের নেতা ফিরহাদ হাকিম। সরব ছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং সুখেন্দুশেখর রায়ও।
[ ‘ভারতে আর অতিরিক্ত মুসলিমের দরকার নেই, কিন্তু নেতাদের তাঁদের প্রয়োজন’ ]
বেলবন্ডে সই করার পর সকাল ৭.৫৫ নাগাদ কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এদিন শহরে ফেরেন তৃণমূলের ৬ প্রতিনিধি। বাকি দুজন দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন। শহরে পা রেখে ফিরহাদ হাকিম জানান, “দলের নির্দেশেই অসমে বিপর্যস্ত মানুষদের পরিস্থিত খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। সাংসদরা ছিলেন। প্রমাণপত্র থাকা সত্ত্বেও অনেকের নাম নাগরিকপঞ্জিতে আসেনি, অসমে অনেক ক্ষেত্রেই এটা হয়েছে। সাংসদরা সেটাই দেখতে গিয়েছিলেন। নমুনা সংগ্রহ করে সংসদে তা তুলে ধরতে পারতেন। তাতে সরকাররেও সুবিধা হত। কিন্তু সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের আটকে দেওয়া হল। কোনও জনপ্রতিনিধির সঙ্গে যখন এরকম করা হচ্ছে, তখন বুঝতেই পারছেন সাধারণ মানুষ কী অবস্থায় আছে। যা দেখে এলাম তাতে গরিব মানুষ বা প্রান্তিক চাষিরা সঠিক বিচার পাবেন বলে মনে হয় না।” সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “আপনারা কি মনে করেন যে আটজন মানুষ গিয়ে কোথাও দাঙ্গা বাধাতে পারে? আর ১৪৪ ধারায় আটকানো যায়, যদি সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র বা বিস্ফোরক থাকে। কিন্তু আমাদের কাছে কিছুই ছিল না। তল্লাশি করেও কিছু পায়নি। তাও আটকে দেওয়া হয়েছে।” ফিরহাদ বলেন, অসম প্রশাসনের নির্দেশে তাঁদের যখন আটকে দেওয়ার কাজ চলছে তখন বিমাবন্দরের মধ্যেই নেপালিরা তাঁকে বলেছেন, যেন তাঁদের বিষয়টিও একটু দেখা হয়। কারণ নেপালিরাও অসম সংখ্যালঘু এবং সেখানে প্রায় এক লক্ষ নেপালির নাম বাদ পড়েছে। তাঁর অভিযোগ, অসমের বিজেপি সরকার সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছে। তবে এভাবে বিমানবন্দরে আটকে রেখে তৃণমূলের প্রতিরোধ ও সংগ্রামকে থামিয়ে থেওয়া যায় না। তাহলে বাংলার মাটিতে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারত না তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বহুদিন আগে শেষ হয়ে যেতেন। সুখেন্দুশেখর বলেন দলীয় নির্দেশেই তাঁরা গিয়েছিলেন। দলের নির্দেশেই এই আন্দোলনের পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারিত হবে।
[ অমিত শাহর বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য নয়, সিটের বক্তব্যে অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.