সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুজোর প্রায় মাস ছয়েকেরও বেশি সময় আগেই তিনি ডুবে যান তাতে। থিম নিয়ে চলতে থাকে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা, আলোচনা। চলতি বছরে করোনা চোখ রাঙালেও ব্যস্ততা একই ছিল থিম শিল্পী সুবল পালের। কিন্তু বাদ সাধল করোনা (Coronavirus)। মারণ ভাইরাস থাবা বসালো তাঁর শরীরেও। যদিও হার মানেননি শিল্পী। বরং করোনাকে হারিয়ে ফের পুজোর কাজে বিভোর হয়েছেন তিনি।
প্রতি বছরই পুজোর বেশ কয়েকমাস আগে থেকেই কোমর বেঁধে প্রস্তুতিতে নেমে পড়েন কলকাতার (Kolkata) উদ্যোক্তারা। কারণ, প্যান্ডেলের থিম, থেকে প্রতিমা, আলো, সবকিছুই যে সেরা হওয়া চাই। আর সেরার শিরোপার জন্য লড়াইয়ে শামিল পুজোগুলির পিছনে মেঘনাদের মতো থাকেন থিম শিল্পীরা। তাঁদের সৃজনশীলতাই মুগ্ধ করে পুজোপ্রেমীদের। কিন্তু চলতি বছরে পুজো আদৌ কতটা সাড়ম্বরে উদযাপন করা সম্ভব হবে তা নিয়ে সকলের মনে প্রশ্ন ছিলই। তাই অধিকাংশ পুজো কমিটি প্রতিবারের তুলনায় বেশ কিছুটা মন্থর গতিতেই এগোচ্ছে। তবে এর মাঝেই শুরু হয়েছিল লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দ পুজো কমিটির থিমের কাজ। শিল্পী সুবল পাল। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করল নোভেল করোনা ভাইরাস। আচমকাই করোনার একাধিক উপসর্গ দেখা দিল শিল্পীর শরীরে। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে জানা গেল, করোনা আক্রান্ত তিনি। ভরতি করা হল হাসপাতালে। শুরু হল অদৃশ্য ভাইরাসের সঙ্গে এক অসম যুদ্ধ। কিন্তু সেই যুদ্ধও সৃজনশীলতা থেকে দূরে সরাতে পারল না সুবলবাবুকে। হাসপাতালের বিছানা থেকেই খাতা, পেন, পেনসিলে পুজোর থিমের খসড়া করে গেলেন।
করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরে আপাতত তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে। সেখানেও তাঁর মাথায় ঘুরছে থিম। ব্যস্ত পুজো নিয়েই। অতএব এবার করোনাজয়ী শিল্পী চোখ ধাঁধাবেন কলকাতার পুজো প্রেমীদের।
২০১৮ এবং ২০১৯, পরপর দু’বছর হাতিবাগান নবীনপল্লির পুজোর দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। পুজো কমিটির আপনজন হয়ে গিয়েছিলেন শিল্পী। এ প্রসঙ্গে নবীনপল্লির পুজো উদ্যোক্তা অমিতাভ রায়ের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান, “নিয়মিত সুবলবাবুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে আমার। এখন অনেকটাই সুস্থ সুবলবাবু।” পাশাপাশি, তিনি বলেন, চলতি বছরে বাজেটে কাটছাঁট হলেও পুজো হবে। সম্পূর্ণভাবে পালন করা হবে প্রশাসনের নির্দেশও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.