Advertisement
Advertisement

Breaking News

আরসালান

জাগুয়ার দুর্ঘটনার পর পালটে গেছে জীবন, জেলে ডাল-রুটিই জুটছে পারভেজ আরসালানের

দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য গত ৮ মাসে ৪৫টি মামলা দায়ের হয়েছে ধৃতের নামে।

Arsalan owner’s son held for accident, takes routine food in jail

আরসালান পারভেজ

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:August 20, 2019 9:11 am
  • Updated:August 20, 2019 9:12 am  

সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: দুপুরের খাবারের মেনুতে ছিল সাধারণ ভাত, ডাল, তরকারি। রুটি ও আলুর তরকারি ছিল রাতের মেনুতে। লালবাজারের সেন্ট্রাল লক-আপে অন্য আসামিদের সঙ্গেই এই খাবারই খেতে হল লাউডন স্ট্রিটের জাগুয়ার কাণ্ডে ধৃত নামী রেস্তরাঁ চেন সংস্থার মালিকের ছোট ছেলে আরসালান পারভেজকে। পাশাপাশি সোমবার সকালেই এই কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে লালবাজারের ‘হোমিসাইড’ বিভাগের গোয়েন্দাদের হাতে। আর তদন্তের দায়িত্ব হাতে পেয়েই জাগুয়ার সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারদের রাতেই ডেকে পাঠান গোয়েন্দারা। বাজেয়াপ্ত সেই অভিশপ্ত জাগুয়ারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তাঁদের কাছ থেকে নিয়ে নেন।

[আরও পড়ুন: পুলিশের ‘মার খেয়ে’ হাজতে আংশিক সময়ের অধ্যাপকরা, বেতন বাড়ালেন মমতা]

এপ্রসঙ্গে লালবাজারে এক পদস্থ গোয়েন্দাকর্তা জানাচ্ছেন, ‘বিদেশি জাগুয়ার সাধারণ মানের গাড়ি নয়। যে কেউ এই গাড়ি চালাতে পারে না। যারা চালাবে তাদের ছবি, নাম, মোবাইল নম্বর, আঙুলের ছাপ রেজিস্ট্রার করা থাকে গাড়িতে। পাশাপাশি এই গাড়িতে সবাই চড়তেও পারে না। যারা যারা চড়তে পারবে তাদেরও ছবি, নাম, মোবাইল নম্বর এবং আঙুলের ছাপ রেজিস্ট্রার করা থাকে এই বিদেশি নামী গাড়িতে।’ কাজেই এই গাড়ি কারা কারা চালানোর এবং চড়ার অধিকারী তার বিষয়ে যাবতীয় তথ্য জানার প্রয়োজন লালবাজারের গোয়েন্দাদের। সেই কারণেই জাগুয়ার সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারদের রাতেই ডেকে পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনার আগে লাউডন স্ট্রিটে ওই গাড়ির গতি কত ছিল তাও ইঞ্জিনিয়ারদের কাছ থেকে জেনে নেন গোয়েন্দারা। এই সমস্ত তথ্য হাতে পাওয়ার পরেই মঙ্গলবার সকাল থেকে ধৃত পারভেজকে দফায় দফায় জেরা করেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

শনিবার দুপুরে বেকবাগানের বাড়ি থেকে আরসালান পারভেজকে গ্রেপ্তারের পর লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে রেখে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রথমে দায়িত্ব নেন লালবাজারের ট্রাফিক বিভাগের কর্তারা। তদন্তের স্বার্থে সেন্ট্রাল লকআপ থেকেই আরসালানকে ট্রাফিক বিভাগে নিয়ে এসে জেরা করা হয়। পরে তদন্তের দায়িত্ব হাতবদল হতেই সেন্ট্রাল লকআপ থেকে গোয়েন্দা বিভাগে নিয়ে এসে তাকে জেরা করা হয়।

[আরও পড়ুন: হেলমেটহীন বাইক চালককে বাধা, ফের কলকাতায় আক্রান্ত পুলিশ কর্মী]

লালবাজারের গোয়েন্দাকর্তা জানিয়েছেন, ধৃত আরসালান পারভেজ কোটিপতির ঘরের ছেলে হলেও সেন্ট্রাল লকআপে তাকে রাখা হয়েছে সাধারণ আসামিদের মতোই। অন্যান্য আসামিদের সঙ্গেই তাকে রাখা হয়েছে। রাতে ঘুমাতে হচ্ছে লকআপের মেঝেতে। অন্যান্য আসামিরা লকআপের যা খাবার খায় তাই খেতে হচ্ছে। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, গত আট মাসে পারভেজের জাগুয়ার গাড়ির নামে ৪৮টি মামলা ঝুলে রয়েছে ট্রাফিক বিভাগে। তার মধ্যে ৪৫টি মামলাই হয়েছে দুরন্ত গতি এবং ট্রাফিক সিগন্যাল না মানার কারণে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement