অর্ণব আইচ: জঙ্গি কাণ্ডে প্রকাশ্যে একাধিক তথ্য। জানা গিয়েছে, জেএমবি-র (JMB) বড় পাণ্ডা তাসমিনের নির্দেশে ভারতে এসেছিল ধৃতরা। শাকিল নামের এক যুবক তৈরি করে দিয়েছিল ভুয়ো আধার কার্ড। ধৃতদের আরেক সাগরেদ সেলিম মুন্সির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন এসটিএফের আধিকারিকরা।
নাজিউর রহমান ওরফে জোসেফ, তার সহযোগী রবিউল ইসলাম এবং শেখ সাবির ওরফে মিকাইল খান। এই তিনজনকে গ্রেপ্তারের পরই এদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ পুলিশের (Bangladesh Police) সঙ্গে যোগাযোগ করে এসটিএফ (STF)। তদন্তকারী সূত্রে খবর, জেএমবি-র অন্যতম শীর্ষ নেতা আল আমিনের সঙ্গে এদের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নাজিউর ওরফে জোসেফই মূল সংযোগকারী। JMB-র আরেক শীর্ষ নেতা তসমিনের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল ধৃতদের। সম্ভবত তার নির্দেশেই ভারতে এসেছিল ধৃতরা। যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁদের সঙ্গেই থাকত সেলিম মুন্সি নামে আরেকজন। কিন্তু এখনও তার হদিশ মেলেনি। ধৃতদের জেরা করে তাঁদের লক্ষ্য জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা। আজ অর্থাৎ সোমবার আদালতে পেশ করা হচ্ছে নাজিউর, রবিউল, সাবিরকে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাদের বিস্তারিত তথ্য জানতে মরিয়া এসটিএফ।
ধৃতরা হরিদেবপুর (Haridevpur PS) থানা এলাকার অন্তর্গত বেহালায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল মাস দুয়েক আগে।উপার্জনের জন্য ফল বিক্রি করত। কারও কোনও সন্দেহ হয়নি। নিজেদের ভুয়ো নাম, পরিচয়ও দিয়েছিল এলাকায়।এসটিএফের তদন্তে প্রাথমিকভাবে এসব তথ্যই উঠে এসেছে। সম্প্রতি এসটিএফের কাছে খবর আসে, কলকাতায় ফের জেএমবি-র স্লিপার সেলের আনাগোনা বাড়ছে। তাতেই স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের নজরদারি বাড়ে। শেষমেশ জালে আসে ২২-২৩ বছরের তিন বাংলাদেশি। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, কলকাতাকে কেন্দ্র করে নতুন কোনও মডিউল তৈরির চেষ্টা করছিল এরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.