Advertisement
Advertisement
Partha Chatterjee

পার্থ-অর্পিতার নামে ৬০ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ৩০ ভুয়ো সংস্থা, ফার্ম হাউস, আদালতে দাবি ED’র আইনজীবীদের

'অর্পিতার বিমার টাকা মেটানোর মেসেজ পার্থর মোবাইলে', ইডির আইনজীবীদের দাবি।

Arpita Mukherjee used Partha Chatterjee's mobile number in LIC policies, ED tells court | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:August 18, 2022 3:16 pm
  • Updated:August 18, 2022 4:58 pm  

অর্ণব আইচ: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে যে বিমা ছিল, তার টাকা মেটানোর মেসেজ আসত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মোবাইলে। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে এমন তথ্য তুলে ধরল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আইনজীবীরা। মোবাইলের তথ্য খতিয়ে দেখতেই বিষয়টি উঠে এসেছে বলে দাবি ইডির। আইনজীবীর দাবি, প্রথম থেকে পার্থ-অর্পিতার সম্পর্কের প্রমাণ মিলেছিল। একাধিক তথ্য থেকে তাদের সম্পর্কের গভীরতাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। মিলেছে প্রচুর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ভুয়ো সংস্থা, ফার্ম হাউসের হদিশও। যেখানে কালো টাকা সাদা হয়েছে বলে দাবি ইডির আইনজীবীদের। 

এদিন আদালতে পার্থর শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিন চেয়েছিলেন তাঁর আইনজীবীরা। আদালতে পেশের আগের দিন কেন জেলে গিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। পালটা শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিনের আরজি খারিজ করার দাবি জানান ইডির আইনজীবীরা। তাঁদের দাবি, একাধিক হাসপাতালে চেক আপ করানো হয়েছে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা রয়েছে ৮.৪। যা থাকার কথা ১৩। কিন্তু ৭০ বছর বয়সে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক থাকে কি? একইসঙ্গে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন ইডির আইনজীবীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, বয়ান রেকর্ড করার পর সেই কাগজ নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কাটাকুটি করে দেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আপনি আইন জানেন না’, এজলাসেই আইনজীবীর তীব্র আক্রমণের মুখে হাই কোর্টের বিচারপতি

গত কয়েকদিনের তদন্তে উঠে এসেছে একাধিক নতুন তথ্য। আগেই পার্থ-অর্পিতার নামে ৫০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। এবার নতুন করে আরও ১০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। সবমিলিয়ে ৬০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। ইডির তদন্তে উঠে এসেছে ৩০টি ভুয়ো সংস্থার নাম। যার মাধ্যমে অর্থ লেনদেন হত বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এখানে বহু কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় একটি ফার্ম হাউসেরও হদিশ পাওয়া গিয়েছে। পিকনিক স্পট হিসেবে ব্যবহার হত সেটি। সেখানেও বিপুল টাকা লগ্নি করা হয়েছে বলে দাবি ইডির আইনজীবীদের। 

বাবলি চ্যাটার্জি (পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াত স্ত্রী) -র নামে একটি ট্রাস্ট রয়েছে। রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক স্কুল। সেই স্কুলের ট্রাস্টে রয়েছেন পার্থ ঘনিষ্ঠরা। এই ট্রাস্টের মাধ্যমেও প্রচুর অর্থ বিভিন্ন খাতে লেনদেন হয়েছে বলে দাবি ইডির আইনজীবীদের। তাঁরা এদিন আরও বলেন, এ বিষয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিছু জানতেন না, একথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে আরও তথ্য জানতে পার্থকে আরও জেরা করতে চায় ইডি। 

[আরও পড়ুন: হাই কোর্টে সাময়িক স্বস্তি অনুব্রতকন্যার, হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement