Advertisement
Advertisement

উৎসবের শহরে ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছে ট্যাক্সি-অ্যাপ ক্যাব, নাকাল যাত্রীরা

দৌরাত্ম্যে পিছিয়ে নেই অটোও।

App cabs surge charge burns hole in customers' pockets this Durga Puja
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:October 7, 2019 9:45 am
  • Updated:October 7, 2019 10:33 am

স্টাফ রিপোর্টার: এক ধাক্কায় ৫০০ টাকা বেশি! সাধারণ সময়ে যে দূরত্ব পৌঁছতে লাগে ১২৫ টাকা। অষ্টমীর রাতে সেই দূরত্বটুকু অতিক্রম করতে লেগে গেল ৬৫০ টাকা। সৌজন্যে অ্যাপ ক্যাব।

আগে পুজোর সময় শুধু ছিল অটো-ট্যাক্সির দৌরাত্ম্য। পুজোর নাম করে অতিরিক্ত যাত্রীভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া। আর এবার যেন ক্যাবের সারচার্জের নাম করে পকেট কাটা সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেল। শেয়ারে ভাড়া নিলে দুনিয়া ঘুরে গন্তব্যে নিয়ে ছুটল গাড়ি। ফলে ভুগতে হল সাধারণ মানুষকে। একদিকে বৃষ্টি। তার উপর যানজট। এই দুইয়ের গেরোয় নাভিশ্বাস উঠল সাধারণ মানুষের। তার মধ্যেই হলুদ ট্যাক্সির যাত্রী প্রত্যাখ্যান চলল। অ্যাপে গাড়ি পেতে সময় লেগে গেল।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: বিদায় নেয়নি বর্ষা, নবমীতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতায় ]

বাদ গেলও না অটোও। এদিন আট টাকার রুটের অটোভাড়া হল ২০ টাকা। যেমন বালিগঞ্জ থেকে দেশপ্রিয় পার্কের অটো ভাড়া উঠল ১৬ টাকায়। কেউ কেউ একই রুটে ভাড়া হাঁকল ২০ টাকা। ঠেলায় পড়ে তাই দিতে বাধ্য হলেন যাত্রীরা। রাত বাড়তে সেই ভাড়া আরও বাড়ল। ট্যাক্সিরও সেই একই অবস্থা। অনেক হাত দেখিয়েও ট্যাক্সি দাঁড় করানো গেল না। যদিও বা যাত্রী নিতে কেউ সম্মতি প্রকাশ করল, তাও আবার তিনগুণ ভাড়ায়। মিটার ট্যাক্সিও চড়ল কনট্র‌্যাক্টে। দেড়শো টাকার ভাড়া চাওয়া হল ৮০০ টাকা। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পুজোর নাম করে এই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় সর্বত্রই চলল। রাস্তায় জ্যামে বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকলে মাঝপথে যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে অ্যাপ ক্যাব। প্রথমত ক্যাব বুক করতে লেগেছে অনেকক্ষণ। আর দ্বিতীয়ত, ভাড়ার পরিমাণ অত্যধিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বালিগঞ্জ থেকে বাঘাযতীন যেতেই টাকার পরিমাণ ছাড়াল চারশোর গণ্ডি। যাদবপুর থেকে চাঁদনিচক ৫৫০ টাকা! এমনই নানা দূরত্বে ভাড়া নেওয়া হল যেমন খুশি।

সময়ে-অসময়ে অতিরিক্ত সারচার্জের নাম করে যাত্রীর পকেট কাটা। আবার কখনও কখনও যাত্রীর সঙ্গে চালকের চরম দুর্ব্যবহার। এমনও হাজারো অভিযোগ শহরের অ্যাপ ক্যাবের (ওলা-উবের) বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবহণ দপ্তর অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলিকে সতর্কও করে। কিন্তু তাতে যে বিশেষ লাভ হয়নি, তা বোঝা গেল পুজোতেই। নারকেলডাঙার বাসিন্দা মেঘদীপ রায়। প্রায়ই ক্যাবে চড়ে ধর্মতলায় অফিসে আসেন। তাঁর অভিযোগ, আচমকাই চড়চড় করে মাঝে-মধ্যেই ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছে এই সমস্ত ক্যাব সংস্থা। অষ্টমীর সন্ধ্যায় তো সবকিছুর সীমা ছাড়াল। সন্ধ্যা সাড়ে আটটা নাগাদ কোয়েস্ট মল থেকে গাঙ্গুলিবাগান যেতে নেওয়া হল ৫০০ টাকা। যাত্রীদের দাবি, এতদিন ছিল শুধু ট্যাক্সির দৌরাত্ম্য। কিন্তু ইদানীং ক্যাবগুলি ট্যাক্সিকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া সঙ্গে রয়েছে যাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার। ঠিকঠাক মতো গন্তব্যে না নামানো-এই ঝঞ্ঝাট তো রয়েইছে। সরকারের বিষয়টি দেখা উচিত।

মূলত চাহিদার তুলনায় গাড়ির সংখ্যা কমলেই সারচার্জ নেওয়ার কথা। কিন্তু ইদানীং দেখা যাচ্ছে, যখন তখন সারচার্জ ধরছে তারা। যাত্রীদের কথায়, হলুদ ট্যাক্সির যাত্রী প্রত্যাখ্যান বন্ধ করতেই তো এই ক্যাবের বাড়বাড়ন্ত। কিন্তু এভাবে ভাড়া বাড়ালে কী করে চলবে! পুজোর সময় তো এই দৌরাত্ম্য আরও বাড়বে।

[ আরও পড়ুন: হার মানল বৃষ্টি-অসুর, সপ্তমীতে জনজোয়ার তিলোত্তমায় ]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement