ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: ছেলে একা নয়, কালীঘাটে গণপিটুনির ঘটনায় জড়িত ছিল বাবাও। কিন্তু পিঠ বাঁচাতে ছেলের ঘাড়েই সব দোষ চাপিয়ে দিয়েছিল ওই প্রৌঢ়। শেষপর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
[আরও পড়ুন:এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের পাশে সুবোধ সরকার, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি]
চোর সন্দেহে গণপিটুনির অভিযোগ। রবিবার সকালে কালীঘাটে একটি শপিং মলের কাছে গাছতলায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশ জানিয়েছে, শংকর মণ্ডল নামে ওই যুবকের বাড়ি টালিগঞ্জের মসজিদ এলাকায়। মদে আসক্ত ছিলেন তিনি। মূলত টালিগঞ্জ ও কালীঘাটের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন শংকর। শনিবার রাত দুটো নাগাদ কালীঘাটের গুরুপদ হালদার রোড ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের রোডের সংযোগস্থলের কাছে ফুটপাতে তাঁকে ডাকা হয়। এলাকার দুই যুবক শম্ভু ও অর্জুন ঘুম থেকে উঠে দেখেন, শংকরকে মোবাইল ফেরত দিতে বলা হচ্ছে আর ওই যুবক মোবাইল চুরির বিষয়টি অস্বীকার করছেন। এরপরই শংকর মণ্ডলকে বেশ কয়েকজন বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। ওই যুবককে যেখানে মারধর করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ, সেই এলাকায় রয়েছে একটি শপিং মল। আক্রান্তের চিৎকার শুনতে পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই শপিং মলের নিরাপত্তারক্ষীও। নেশার টাকা জোগাড় করতে ওই যুবক মোবাইল চুরি করতেন বলে অভিযোগ।
কালীঘাটে গণপিটুনির ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে বাপি পাত্র নামে এক যুবককে গ্রেপ্তারও করা হয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা তো বটেই, ছেলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছিলেন বাপির বাবা কানাই পাত্রও। বলেছিলেন, খবর পেয়েছিলেন, কিন্তু ঘটনাস্থলে যাননি তিনি। কিন্তু ওই প্রৌঢ়ের বয়ানে সন্দেহ হয় পুলিশের। খতিয়ে দেখা হয় সিটিটিভি ফুটেজ। এরপরই কানাই পাত্রকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রাতভর অভুক্ত ছিলেন নিহত শংকর মণ্ডল। রাত দুটো থেকে দফায় দফায় চলে মারধর। সেই ধকল সহ্য করতে না পেরেই মারা গিয়েছেন ওই যুবক।
[ আরও পড়ুন: ব্রিগেডে ছাউনি দিয়ে মোদির সভার ভাবনা, সেনার অনুমতির অপেক্ষায় বিজেপি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.