Advertisement
Advertisement

Breaking News

বৃদ্ধার মৃত্যু

দুর্গন্ধ পেয়ে শহরের ফ্ল্যাটে হানা, বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার ঘিরে ঘনীভূত রহস্য

মৃত্যুর কারণ বুঝতে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষা৷

An old woman's body recover from a flat of Survey Park police station
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 21, 2019 5:26 pm
  • Updated:April 21, 2019 5:26 pm  

অর্ণব আইচ: মা থাকেন সার্ভে পার্ক থানা এলাকায়৷ ছেলের বাস যাদবপুরে৷ এটুকু দূরত্বই কাল হল৷ শহরে ফের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল একাকী বৃদ্ধার নিথর দেহ৷ আত্মহত্যা, খুন নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু? এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের ভিড়৷ ইতিমধ্যেই যাদবপুরে বসবাসকারী বৃদ্ধার ছেলের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ৷ 

[ আরও পড়ুন: অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রায় বাধা, মাকে শ্বাসরোধ করে খুন ছেলের]

রবিবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিট নাগাদ আচমকাই সার্ভে পার্ক থানায় একটি ফোন যায়৷ পার্থসারথি গুহ নামে এক ব্যক্তি জানান যে তাঁর প্রতিবেশী মণিকা চক্রবর্তীর ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে৷ সেই খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়৷ ফ্ল্যাটে প্রথমে দরজা ধাক্কা দেন তাঁরা৷ তবে কারও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি৷ বেশ কিছুক্ষণ পর বাধ্য হয়েই দরজা ভেঙে ফেলা হয়৷ পুলিশ ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢুকে দেখতে পান যে ওই বৃদ্ধা ঘরের মেঝেতেই বসে রয়েছেন৷ ধাক্কা দিলেই তিনি পড়ে যান৷ পুলিশ অবাক হয়ে যায়৷ ততক্ষণে যদিও বৃদ্ধা মারা গিয়েছেন৷ দেহটি উদ্ধার করে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়৷ উদ্ধারের সময় দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি৷ মৃতদেহে কোনও অস্বাভাবিকতাও লক্ষ্য করেনি পুলিশ৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় কেষ্টপুরে উদ্ধার ঝাড়খণ্ডের মহিলার দেহ, ঘনাচ্ছে রহস্য]

২০১২ সালের আগস্টে বৃদ্ধার স্বামী শরদিন্দু চক্রবর্তী মারা যান৷ বৃদ্ধার একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে৷ বৃদ্ধার ছেলে সুকর্ণ চক্রবর্তী বর্তমানে যাদবপুরে অন্য একটি ফ্ল্যাটে থাকেন৷ স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তাই সার্ভে পার্ক থানা এলাকার ওই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন বৃদ্ধা৷ প্রতিবেশীদের দাবি, মাঝেমধ্যে নাকি ছেলে তাঁর মাকে দেখতে আসতেন৷ তবে ইদানীং তাঁর  যাওয়া আসা কিছুটা কমে গিয়েছিল৷ গত কয়েকদিন ধরে বৃদ্ধাকে দেখতেও পাননি প্রতিবেশীরা৷ কীভাবে মারা গেলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা৷ স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু, তা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়৷ বৃদ্ধার ছেলের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছে পুলিশ৷ মায়ের মৃত্যুর কারণ জানতে তাঁর ছেলে সুকর্ণর সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement